থাইরয়েড একটি ক্রনিক অসুখ এবং এটি কোনো বয়স সীমাবদ্ধ রাখে না। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের স্রাব বেড়ে গেলে বা কমে গেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ক্লান্তি ইত্যাদি। থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়লে ওষুধের সঙ্গে কিছু বিশেষ পানীয়ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অশ্বগন্ধার চা :
আয়ুর্বেদে অশ্বগন্ধা মানসিক চাপ কমাতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার চা খুবই কার্যকর।
এটি ঘুমের সমস্যা দূর করে, বিপাক হার বাড়ায় এবং হরমোনজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
দারুচিনির পানি :
দারুচিনি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং থাইরয়েডের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহও কমায়। মেটাবলিক ডিস-অর্ডারের ক্ষেত্রে দারুচিনি খুবই কার্যকর। সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানি পান করলে থাইরয়েডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মোরিঙ্গার চা :
মোরিঙ্গা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি থাইরয়েড টিস্যুর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, বিপাক হার বাড়ায় এবং ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে। মোরিঙ্গার আয়রন লাল রক্তকণিকা গঠনে সহায়ক।
পালংশাকের স্মুদি :
পালংশাকে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফোলেট, যা হরমোনাল ও মেটাবলিক ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। পালংশাকের সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বা সবজি মিশালে এটি আরো ভালো কাজ করে।
অ্যালোভেরা জুস :
অ্যালোভেরা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ। এটি থাইরয়েডের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং গ্রন্থির কোষ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করতে, লিভার ও পাচনতন্ত্রের জন্যও অ্যালোভেরা জুস উপকারী।