× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আজ বিশ্ব ডিম দিবস ; 'সহজলভ্য' থেকে বিলাসীতার দ্বারপ্রান্তে ডিম

ডেস্ক রিপোর্ট

১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:১২ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

আজ বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বব্যাপী ডিমের পুষ্টিগুণ ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিমে পুষ্টি, ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি'। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান ডিমের বাজারের যে অবস্থা তাতে ডিমে পুষ্টি, শক্তি ও রোগমুক্তি থাকলেও জনসাধারণের পাতে ডিমই নেই।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক ডিম কমিশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হয়। দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো ডিমের পুষ্টিগুণ এবং সারা বিশ্বে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এর ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। কেননা, ডিম সারা বিশ্বে একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। যা মানবদেহের প্রয়োজনীয় প্রোটিনসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে বাংলাদেশের বর্তমান ডিমের বাজারের প্রেক্ষাপটে ডিমকে আর মোটেও সহজলভ্য বলার জো নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক দফা ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকায়। বাজারের তুলনায় পাড়া-মহল্লার দোকানে আরও পাঁচ টাকা বেশিতে বিক্রি হয়েছে মুরগির ডিম।

সেসময় ভয়াবহ বন্যাকে দায়ী করে ব্যবসায়ীরা ডিমের বাড়তি দামের পক্ষে বিভিন্ন অজুহাত দেওয়া হয়। ভারত থেকে কয়েক দফায় ডিম আমদানি হলেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে এই ডিমের দাম আরও বৃদ্ধি পায়। সপ্তাহের শুরুতে ডিমের ডজন গিয়ে ঠেকেছিলো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা পর্যন্ত।

তবে সরকারের পর থেকে আরও ডিম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়। গত ০৮ অক্টোবর দেশে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ খবরে বাজারে ডিমের দামে পূর্বের তুলনায় কিছুটা স্বস্তির দেখা মেলে। মোহাম্মদপুর টাউনহল, হাতিরপুল, রামপুরা, শেওড়াপাড়াসহ পাড়া মহল্লার দোকানে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। আবার কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫২ টাকা। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪১ টাকায়।

কিন্তু ডিম আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) মত ভিন্ন। রকার বিদেশ থেকে ডিম আমদানি বন্ধ না করলে ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস। ডিমের উৎপাদন রয়েছে সাড়ে চার কোটি পিস। চাহিদার থেকে যেখানে উৎপাদন বেশি হচ্ছে, সেখানে ডিম আমদানির প্রশ্নই আসে না। সরকারের ডিম আমদানির ভুল সিদ্ধান্তে প্রান্তিক খামারিরা লসের মুখে পড়বে। দেশীয় খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে; এতে পরবর্তী সময়ে সংকট আরও বড় আকার ধারণ করবে।

দেশে ডিমের বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলছেন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ডিম উৎপাদনে পরিপূরক খাদ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ডিমের উৎপাদন খরচ না কমলে ডিমের দাম কমবে না।

একটা সময় বাড়িতে কিছু রান্না করা না হলে বলত, একটা ডিম ভেজে খেয়ে নে। আবার শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা দেশের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ব্যাচেলর থাকেন তাদের জন্য ডিমই ছিল সহজ সমাধান। তবে আজকের ডিম দিবসে এই পরিস্থিতি ভিন্ন। ডিম ক্রমশই চলে যাচ্ছে জনসাধারণের খাদ্যতালিকার বাইরে। সেদিন হয়ত খুব বেশি দেরি নেই যেদিন বাসাবাড়িতে 'আজকে শুক্রবার, বাসায় মাংস রান্না হয়েছে' এর বদলে 'আজ ডিম রান্না হয়েছে' শুনেই উৎসবের আমেজ পাওয়া যাবে।

 

 

 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.