× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সাবধান! মাত্র দুদিনে মানুষ হত্যায় সক্ষম জীবাণু ছড়াচ্ছে

সংবাদ সারাবেলা ডেস্ক

১৬ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম

গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া, ছবি: সংগৃহীত

মহামারি করোনাভাইরাসের পর এবার নতুন এক ব্যাকটেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যা এখন জাপানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মাংসখেকো এ ব্যাকটেরিয়া এতটাই মারাত্মক, এর সংক্রমণের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

এ ব্যাপারে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজেসের পক্ষ থেকে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। এর নাম গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া (জিএএস)। এর সংক্রমণে যে রোগ সৃষ্টি হচ্ছে, তার নাম স্ট্রেপ্টোকোকাল টক্সিক শক সিনড্রোম।

প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানা যায়, চলতি বছর ২ জুন পর্যন্ত দেশটির অন্তত ৯৭৭ জন বিরল এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪১ জাপানি।

‘মাংসখেকো এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে দুইদিন তথা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই।’ এ কথা জানান, টোকিও উইমেন্স মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেন কাকুচি।

রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রথমে পা ফুলতে শুরু করে। এরপর হাঁটুর কাছের অংশ ফুলতে শুরু করে। তারপর আস্তে আস্তে শারীরিক অবস্থানের অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়।

অধ্যাপক কিকুচি জানান, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে চলতি বছর এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছাবে।

ভয়ঙ্কর এই রোগের প্রতিরোধে মানুষকে সবসময় হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং যেকোনো ক্ষত চিকিৎসা করাতে হবে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, রোগীরা তাদের অন্ত্রে জিএএস বহন করতে পারে, যা মল দিয়ে হাতকে দূষিত করতে পারে।

জাপান ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে এই রোগ ছড়াচ্ছে। ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এই রোগ ছড়াতে শুরু করে। রোগটির প্রাদুর্ভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্র: ব্লুমবার্গ

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.