কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া-মাতারবাড়ি ঘেষেই কোহেলিয়া বাণিজ্যিক নদীটি নানান উন্নয়ন প্রকল্পের কবলে পড়ে এখন প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। এবার ওই নদীর প্রতি চোখ পড়েছে ভূমিদস্যূদের। ইতিমধ্যে প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে অনেকে।
জানাগেছে, উপজেলার মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাটের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, কফিল আহমদ, জয়নাল , আবু বকর , গুরাইয়া , আজিজ ও উত্তরে আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে চলছে কোহেলিয়া নদী দখল ।
তবে বন পাহারায় নিয়োজিত আব্বাস উদ্দীন নামের এ ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে মাতারবাড়ী ও মগনামা বনবিভাগের লোকজনের সাথে আঁতাত করে নির্বিচারে প্যারাবন কেটে কোহেলিয়া নদী ও বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে ফেলছে। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বনের জায়গা দখলে যেন চলে না যায় আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেও
তবে এসব অবৈধ কাজ বন্ধে কোন ধরনের উদ্যোগ নেই মাতারবাড়ী ফরেষ্ট বনবিভাগ কর্মকর্তা সহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালারমারছড়া ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া মীর আক্তার সড়কের পশ্চিমে কোহেলিয়া নদীর পশ্চিম পাশে
দিনরাত ওই চিংড়ি ঘের নির্মাণের কাজ চললেও তা জানেননা ওই স্থানীয় বিট অফিসের কেউ। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে জানান, রাজঘাটের জসিম সিন্ডিকেট ও খন্দারাবিলের আব্বাস উদ্দীনের সাথে বনবিভাগের লোকজনদের সখ্যতা রয়েছে। মূলত বনবিভাগের লোকজনদের টাকার বিনিময়ে চুপ করে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাতারবাড়ি সংলগ্ন কোহেলিয়া নদীর অপরপাড়ে মগনামা ইউনিয়ন। ওই এলাকার ছনুয়া রেঞ্জের আওতাধীন উজানটিয়া বনবিটের অধীনস্থ কোহেলিয়ার পাড় ঘেষে প্যারাবন কাটার হিড়িক চললেও বনবিভাগ সেই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং প্যারাবন কাটার জন্য তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এতে মাতারবাড়ী নবাগত বিট কর্মকর্তা ও উজানটিয়া বিট কর্মকর্তারা জড়িত বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা মহেশখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর ছিদ্দিক জানান, প্রতিবছর নানান ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এসব ঘূর্ণিঝড় থেকে প্যারাবনগুলো এখানকার মানুষদের রক্ষা করে। কিন্তু এখন নির্বিচারে সেই প্যারাবনই কাটা হচ্ছে। এবং নতুন করে চিংড়ি ঘের তৈরি হচ্ছে। আর এসব বন্ধে বনবিভাগ নিরবতার ভূমিকা পালন করছে বলে মনে হচ্ছে আমাদের।
মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বলেন, নদীর চর কারো দখলে রাখার সুযোগ নাই। যদি কেউ দখলে রাখে তাদের উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হবে। পাশাপাশি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।