× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব গরুর মাংসের দোকান বন্ধ

আবুল হাসনাত অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪০ পিএম । আপডেটঃ ২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৫ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আনন্দবাজারের গরুর মাংসের বন্ধ দোকান

ফরিদপুরের কসাই (মাংস ব্যবসায়ী) যখন ৫০০ টাকা মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছেন ঠিক সেই সময় সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস বিক্রেতারা। 

গত সোমবার হতে জেলা সদরের সকল মাংস বিক্রেতারা সকল মাংসের দোকান বন্ধ রেখেছে। গরুর মাংসের দাম পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বৌ বাজার, কাউতলী বাজারসহ অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় বাজারে এসে ক্রেতারা মাংস না পেয়ে বিপাকে পরেছেন। মাংসের দাম পুণর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে খোঁজ নিয়ে ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়। 

ব্যবসায়ীরা জানান, খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করে ৭৫০টাকা দরে। কম দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বিধায়, ব্যবসায়ীরা সোমবার সকাল থেকে জেলা সদরের গরুর মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রাখছেন।

মাংস ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন ও শামীম জানান, আমরা জনগণের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে-৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকসান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া বলেন, আমরা লোকসানে ব্যবসা করতে পারব না। সরকার গরুর মাংসের যে দাম নির্ধারন করে দিয়েছে সে দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে। লোকসান দিয়েতো আর ব্যবসা সম্ভব না। তাই সোমবার থেকে আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারী এবং ব্যাপারি থেকে গরু কিনে থাকে। তারা চামড়া সহ গরু কিনে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকার মতো  প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ, খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুণরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় গরুর মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। 

বুধবার সকালে শহরে আনন্দ বাজারে আসা ক্রেতা মো. সাদেক মিয়া জানান, বাড়ি থেকে গরুর মাংস কিনার জন্য বাজারে এসে দেখি সকল মাংসের দোকান বন্ধ। গরুর মাংস কিনতে না পেরে ফার্মের মুরগি নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। রোজা-রমজান মাসে এমনটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। আশা করি ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধান করে দোকান গুলো আবারো চালু করবেন। 

এদিকে, ফারুকী বাজারে বাজার দরের লিফলেট বিতরণকালে কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মচারী মো. পলাশ মণ্ডল জানান, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশনাক্রমে বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এর বেশি আমার জানা নেই।

গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে মাংস ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দাম সমন্বয় করতে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। তারা আশা ব্যক্ত করছেন ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.