কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের অধিকাংশ সড়ক গত দুই বছর যাবৎ সাধারণ মানুষের চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ছিল। বিশেষ করে পৌর শহরের নগুয়া শেষ মোড় হতে মোরগমহাল ও আখড়াবাজার সড়কটি খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়ছিল। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সড়কটির কাজ শুরু হলেও প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ পথচারী- স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের নগুয়া শেষ মোড় (এনজেল স্কুল সংলগ্ন) কালবার্টটি পুন:সংস্কারের জন্য উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। এখানে এনজেল স্কুল, লাইসিয়াম কিশোরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক শত শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বড় ধরণের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কালবার্টটির খননের স্থানে পুরানো রড উপড়ে রয়েছে। এতে যেকোন সময় প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অন্যদিকে বড় ধরণের কোন যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের নেই কোন সিগনাল। অনেক অভিভাবকদের বাচ্চাদের কোলে নিয়ে আসার দৃশ্যও দেখা যায়।
এ ব্যাপারে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাচ্চাটি এই রাস্তাদিয়ে প্রতিদিনই আসা-যাওয়া করে। এখানে পাড়া-পারের সময় খুব ভয় পায়। যে কোন সময় যে কোন ভাবে পড়ে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর প্রায় ১৫ দিন যাবৎ এভাবে কাজ বন্ধ করে রাখছে। পৌরকর্তৃপক্ষের কাছে আশা করব এ কালবার্টটি ফেলে না রেখে খুব দ্রতই যেন এ সমস্যার সমাধান করে।
এ বিষয়ে এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘নগুয়া প্রথম মোড় এবং শেষ মোড়ে রাস্তাগুলি এমনভাবে ভেঙে রাখছে আজ ১৫ দিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। কোন কাজ করেনা। এতে অনেক পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখানে দুটি স্কুল আছে; অনেক শিক্ষার্থীরা ও তার অভিভাবক আসা-যাওয়া করে। অন্যদিকে হোসেনপুর থেকে অনেক লোক আসা-যাওয়া করে এই রাস্তাদিয়ে।
রাফিয়া নামে এক শিক্ষার্থী জানান, এখানে যে রাস্তাটির কাজ বন্ধ করে রয়েছে, তাতে আমাদের স্কুলের আসা-যাওয়ার সমস্যা হয়। এ রাস্তাটি দিয়ে আমাদের স্কুলে-কচিংয়ে যেতে হয়। আমরা রিক্সা দিয়ে যাতায়াত করতে পারেতেছি না। কারণ আমাদের এই রাস্তাটি বন্ধ থাকলে কোন জায়গাতেই যাতায়াত করা সম্ভব নয়।
নাসিমা নামের এক অভিভাবক বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এলাকায় আসতে পারি না। তারপর কাজ শুরু হয়ে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আমাদের ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। অনেক বাচ্চারা এখান দিয়ে পারাপার করতে ভয় পায়। আশা করব পৌরকর্তৃপক্ষ এ বিষয় দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
এ বিয়য় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, ‘রাস্তার কাজ চলমান আছে। তবে বর্তমানে শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।