× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভয়াবহ লোডশেডিং: বেড়েছে আইপিএস ও জেনারেটর বিক্রি

হালিম মোহাম্মদ

০৭ জুন ২০২৩, ০৩:৪৭ এএম

ফাইল ছবি

গত এক সপ্তাহ যাবত তাপদাহের মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে লোডশেডিং বেড়ে  গেছে। প্রতিদিন রাজধানীতে দুদফা লোডশেডিং হচ্ছে। আর রাজধানীর বাইরে তিন থেকে চারবার লোডশেডিং হচ্ছে। এই আপদকালীন সময়ে মানুষ বিকল্প হিসেবে আইপিএস ও জেনারেটর কেনা শুরু করেছেন। রাজধানীসহ বিভাগীয় এলাকার বিত্তবানদের অনেকে আইপিএস কিনেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে এই দুটি পণ্যের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। অনেকে কেনার জন্য দাম দর এবং খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে জেনারেটরের চেয়ে আইপিএসের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহটা বেশি। 

পুরনো ঢাকার নবাবপুরে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকায় আপিএসের বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যাদের ঘরে পুরনো আইপিএস  ছিল, অনেকে তা বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্প্রতি বিদ্যুতের সমস্যা বা লোডশেডিং দেখা দেওয়ায় ফের আইপিএসের বিক্রি বেড়েছে।

গত এক সপ্তাহে ব্যক্তিগত ক্রেতা পর্যায়ে আইপিএসের বিক্রি তুলনামূলক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দারপরও কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেকে। সব মিলিয়ে সপ্তাহ খানেক সময়ে বিক্রি বেড়েছে। 

ফুলবাড়িয়ায় বৃহৎ ইলেক্ট্রিক মার্কেট সুন্দরবন স্কোয়ারে গিয়ে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে চীন ও ভারতীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আইপিএস। এর মধ্যে অন্যতম লুমিনাস ও মাইক্রোটেক। এর পরেই রয়েছে লিভগার্ড, এমাজি, ইউটিএল ডামা প্লাস, এক্সাইডের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানের পণ্য। দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের আইপিএসও বেশ ভালো বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমন একটির নাম সেপটি প্লাস।

সেপটি প্লাসের বিক্রেতা সুফিয়ান বলেন, ধরন ভেদে আইপিএসের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোটগুলো। ৫টি ফ্যান ও ৫টি লাইটের ক্ষেত্রে ৭ হাজার টাকা, ৪ ফ্যান ও ৪ লাইট ৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৩ ফ্যান ও ৩ লাইটের উপযোগী একটি আইপিএসের ৫ হাজার ৫০০ টাকা।

তিনি বলেন, আইপিএসের ক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। সিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্নবিত্তরা এটি কেনার কথা ভাবতে পারছে না। যারা দাম জেনে চলে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যাই বেশি।

সুফিয়ান আরো জানান, জেনারেটরের বিক্রিও কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ কিলোহর্স জেনারেটর। ছোট পরিবার এবং মার্কেটের দোকানের জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছোট আকারের জেনারেটর কিনছেন অনেকে। তবে আইপিএসের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি। 

পুরনো ঢাকার আলুবাজার বাতিঘরের সেলস ও মার্কেটিং ম্যানেজার নাদিম আহমেদ বলেন, জুন ক্লোজিং এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর বিক্রি বেড়েছে।

পুরান ঢাকার চকবাজার এবং মৌলভীবাজারের ইলেক্ট্রিক ব্যবসায়ী জানান, লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় এবং ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বিকল্প উৎসের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.