× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে উত্তপ্ত প্রচারণার মাঠ

এএম হোবাইব সজীব, কক্সবাজার

০৪ জুন ২০২৩, ০৭:৩৪ এএম

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থিত নেতাকর্মীদের লাগামহীন প্রচার-প্রচারণায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এ নিয়ে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা করছে সচেতন মহল।

মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে। এদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী এবং অপরজন নাগরিক কমিটির ব্যানারে নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ।

আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর ৩ প্রার্থী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের স্ত্রী জোছনা হক (মোবাইল প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট প্রতীক) এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মো. জাহেদুর রহমান (হাত পাখা)।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের কোনো প্রার্থী না থাকায় মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদ্য সাবেক দুই নেতাকে ঘিরে। কিন্তু নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ওই দুই প্রার্থীকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে ততই 'লাগামহীন' হয়ে উঠেছেন।

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মুখোমুখি অবস্থানের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,রাশেদের পক্ষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন হক শণের চার নারী। সেখানে রয়েছেন মোজাম্মেল পরিবারের তিন পুত্রবধূ এবং একজন কন্যা।

তারা পাড়া মহল্লায় নিয়মিত উঠান বৈঠক ও নারী সমাবেশ করে চলেছেন। প্রার্থীর পক্ষে উপস্থাপন করছেন নানা যুক্তি। দিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও।

নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের সহধর্মিণী মিসেস জোসনা হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শালের সহধর্মিণী আমেনা হক রুবি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েলের সহধর্মিণী ইফতি হক এবং মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের একমাত্র কন্যা তাহামিনা নুসরাত জাহান হক লুনা।

এই চার নারী ইতোমধ্যে পৌরবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন তা শোনার অপেক্ষায় থাকে অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বক্তব্য বেশ আলোচিত। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে বক্তব্যগুলো ভাইরাল হচ্ছে নেট দুনিয়ায়।

তবে, হক পরিবারের এই চার নারীর কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের ভোট ব্যাংক দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে বলে সর্বসাধারণের ধারণা করলেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েলের সহধর্মিণী ইফতি হকের বক্তব্য গোছালো হওয়ায় ভোটার মাঠে তিনি সাঁড়া পেলেছে মাসেদুল হকের পক্ষে।

অপরদিকে নৌকার মনোনিত প্রার্থী মাহাবুবুর  রহমান চৌধুরীর পক্ষে তার সহধর্মিণী সহ স্বজনরা ভোটার মাঠে ভোট প্রার্থনা করে ব্যাপক সাঁড়া ফেলেছে।

সাধারণ ভোটারদের দাবি মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘিরে। কিন্তু নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ওই দুই প্রার্থীকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছেন। একই সঙ্গে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ, একে অপরের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে এবং মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের প্রবীণ এবং বিদগ্ধ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্রমাগত সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। 

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান। এতে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদের ভাই শাহিদুল হক মার্শাল নির্বাচনী প্রচারে সরকারি গাড়ি ব্যবহার ও জেলা পরিষদের বরাদ্দের চেক প্রদান করছেন। একই সঙ্গে তার ছোট ভাই কায়সারুল হক জুয়েল সরকারি গাড়ি ব্যবহার এবং গাড়িতে লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই দুই ভাই নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি এবং বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারি দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তারা কলো টাকা বিতরণ, নৌকার সমর্থকদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রার্থী মাহবুবের এ-সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের একটি চিঠি হাতে পৌঁছেছে। এটা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.