× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভারতের 'প্রথম' নারী কুস্তিগীর

সংবাদ সারাবেলা ডেস্ক

০১ জুন ২০২৩, ০২:৪৫ এএম

১৯৪০-৫০ এর দশকে ভারতে কুস্তিগীর বলতে শুধু পুরুষ খেলোয়াড়ই ছিল। ঠিক এ সময়টাতে একজন নারী কুস্তিগীর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন হামিদা বানু। কিন্তু, বেশকিছু চাঞ্চল্যকর কুস্তি লড়েই দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান তিনি। ভারতের 'প্রথম' নারী কুস্তিগীরের [অনেকের মতে] ভাগ্যে শেষমেশ কী ঘটেছিল তা জানতে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বিবিসি উর্দুর নিয়াজ ফারুকী।

তৎকালীন কিছু সংবাদের প্রতিবেদন অনুসারে, 'কুস্তিতে হারাতে পারলে প্রতিপক্ষকে বিয়ে করবেন'- হামিদা বানুর এমন ঘোষণা আসে ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তার বয়স তখন ৩০ এর গোঁড়ায়।

এসব প্রতিবেদন প্রকাশের কিছুদিন পরই হামিদা দুজন পুরুষ কুস্তিগীরকে পরাজিত করেন। একজন ছিলেন উত্তর পাঞ্জাব রাজ্যের পাতিয়ালার এবং অন্যজন পূর্ব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার।

একই বছরের মে মাসে হামিদা বানু তৃতীয় লড়াইয়ের জন্য যান পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের ভাদোদরা (তৎকালীন বরোদা)তে। ভাদোদরার বাসিন্দা সুধীর পরব সেসময়কার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, হামিদা বানু আসার খবরে পুরো শহর জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সুধীর তখন নেহাতই এক শিশু।

তিনি জানান, হামিদা বানুর লড়াই করার কথা ছিল ছোটে গামা পালোয়ান (হিন্দিতে পেহেলওয়ান) এর সাথে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি লড়াই থেকে সরে আসেন এই বলে যে, তিনি কোনো নারীর সঙ্গে কুস্তি করবেন না।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)তে ১৯৫৪ সালের ৩ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কুস্তির বর্ণনায় বলা হয়, "লড়াইটি মাত্র ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। জিতে যান নারী কুস্তিগীর।"

এই লড়াইয়ের আরও ১০ বছর আগে থেকেই কুস্তির মাঠে পরিচিত মুখ ছিলেন হামিদা বানু। ১৯৪৪ সালে বোম্বে ক্রনিকল পত্রিকার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহরের একটি স্টেডিয়ামে হামিদা বানু ও গুঙ্গা পালোয়ানের মধ্যকার লড়াই দেখতে উপস্থিত হন প্রায় ২০,০০০ মানুষ।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জনসমক্ষে লড়াই নিয়ে মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে কুস্তি ফেডারেশন আপত্তি জানায়। ফলে পুরুষ কুস্তিগীর রামচন্দ্র সালুঙ্কের সাথে একটি লড়াই বাতিল করতে হয় হামিদাকে। আরেকবার এক পুরুষ প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার পর উপস্থিত দর্শকরা হামিদা বানুকে গালিগালাজ করে। তার দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে। সেসময় তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকেও মাঠে নামতে হয়।

মাঠে নামকরা পালোয়ানদের সাথে লড়াইয়ে জিতলেও, জীবনযুদ্ধে জিততে পারেননি হামিদা। সমাজের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে যেয়ে সংগ্রাম করা একসময়কার লড়াকু এই কুস্তিগীরের শেষ দিনগুলো কেটেছে দুর্দশার মধ্য দিয়ে।



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.