ভোট আসলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ব্রিজ নির্মাণের। কিন্ত স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আজও কথা রাখেনি কেউ। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন বদরগঞ্জ পৌরশহরের অংশে নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। ফলে দুপারের হাজারো মানুষের পারপারে বর্ষায় ভরসা নৌকা শুকনায় ভরসা কাঠের সাঁকো।
দেশ স্বাধীনের ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও সরকারের আমলে নজরে আসেনি ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি।মিলেছে শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতি এলাকাবাসীর দাবি পুরন না হলেও একদিকে বছরের পর বছর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ফায়দা লুটছে একটি প্রভাবশালী চক্র,অন্যদিকে বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় সাঁকো দিয়ে ইজারাদারের হয়েছে পোয়াবারো।
আবু তাহের সহকারি শিক্ষক এহিয়াগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা।২০০২ ঘাট পারাপার হয়ে আসছি ২১ বছর ধরে দেখে আসছি। অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিজ হবে। ভোট এলে জনপ্রতিনিধিদের ব্রিজ হওয়ার এই প্রতিশ্রুতি দিলেও ২১ বছরেও কার্যকর হয়নি। আদো হবে কিনা জানি না।
খেয়াঘাট মাঝি আব্দুল লতিফ বলেন, এ বছরে ১ লক্ষ ৬০ হাজার লাখ টাকায় ঘাটের ইজারা হয়, প্রতিদিন হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার হন। সপ্তাহে দুদিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার বদরগঞ্জ হাটবার এ দুদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ পারাপার করেন। অনেক বছরে খেয়াঘাটে মাঝি হিসেবে নিয়োজিত আছি। আমার মাঝিগিরির দরকার নাই, দশের উপকারের জন্য আমি এখানে সেতু নির্মাণের দাবি করছি। স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষিক আক্ষেপ করে জানান একটি সেতুর জন্য কয়েক গ্রামের জীবন ও অর্থনীতির চাকা থেমে আছে। বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় সাঁকোয় চলাচল করতে হচ্ছে নদীর দুপাড়ের কয়েক হাজার মানুষকে। জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের পাহাড় জমলেও হয়নি সেতু নির্মাণ।
মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম ভুট্টু জানান, সেতুটির জন্য পৌর মেয়র চৌধুরীর টুটুল তৈরি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বাপ্পি বলেন, যমুনেশ্বরী নদী বদরগঞ্জ পৌর শহর ও মধুপুর অংশে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া আছে। সেতুটির কথা প্রস্তাবে আছে, আমরা মন্ত্রনালয়কে অবগত করেছি।