আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের (বিসিসি) দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই ভোটযুদ্ধে আলোচিত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের ঘরে-বাইরের লড়াইটা বেড়ে যাচ্ছে।
এখনও জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে না নামার কারণে ভোট যুদ্ধে ঘরে-বাইরে প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ও তার সহধর্মীনি লুনা আব্দুল্লাহকে লড়াই করতে হচ্ছে। মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের বড়ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি এবং ভাইয়ের ছেলে বর্তমান সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ গত একমাস ধরে বরিশালে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে তাদের অনুসারী নেতাকর্মী থেকে শুরু করে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরাও নৌকার পক্ষে মাঠে নামেননি। এ সুযোগে আগামী ১২ জুন সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা অন্যদলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে সরব হয়ে উঠেছে।
যদিও এখন পর্যন্ত প্রচারনা ও জনপ্রিয়তায় সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। তারপরেও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের নিরবতার কারণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রমতে, রবিবার (১৩ মে) পর্যন্ত মেয়র পদে নয়জন প্রার্থী নির্বাচনের রির্টানিং অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আগামী ১৬ মে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর, বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। কিন্তু এরআগেই প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুঁড়ি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রার্থীরা যে যার মতো করে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের জনপ্রিয়তা জানান দিচ্ছেন। এরমধ্যে গত ১১ মে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বরিশাল সফর করে তাদের দলের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসের পক্ষে কৌশলে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে গেছেন। গত ৮ মে কয়েক হাজার মোটরসাইকেলের শোডাউন নিয়ে নগরীতে এসেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম। এরআগে রমজান মাসে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বরিশালে এসেছেন নৌকার মনোনীত মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। ওইসময় বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে প্রার্থীকে বরণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বেশি আলোচিত মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন খোকন সেরনিয়াবাত। কারণ তিনি তার ভাতিজা বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সাথে প্রতিযোগীতায় নেমে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মেয়র পদটি বাগিয়ে আনেন। বঙ্গবন্ধুর বোন জামাতা সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের কনিষ্ঠ ছেলে হিসেবেও খোকন সেরনিয়াবাতের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে খোকন সেরনিয়াবাতের বড়ভাইয়ের ছেলে বর্তমান মেয়রের বেশকিছু আপত্তিকর কর্মকান্ডের কারণে দারুন বেগ পেতে হচ্ছে। এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে এবার শক্ত করে কোমর বেঁধে যে করেই হোক বিজয় ছিনিয়ে নিতে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হেভিওয়েটের প্রার্থীরা। এরমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সিটি মেয়র বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন। দলীয়ভাবে বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করায় বিএনপির ভোট ব্যাংকখ্যাত বরিশাল নগরীর ভোটাররা তাকে (রুপন) ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আশায় তিনি মাঠে নেমেছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের ঘরের লোক। অর্থাৎ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ হচ্ছেন নৌকার প্রার্থীর বড়ভাই। আর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ হচ্ছেন ভাইয়ের ছেলে। তারা বাবা ও ছেলে এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে বরিশালে ফেরেননি। যেকারণে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও নৌকার পক্ষে মাঠে নামেননি। যেকারণে দিন যতোই গড়াচ্ছে ততোই নৌকার প্রার্থীর ভোট কঠিন হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জয় পেতে দলের সাবেক নেতাদের নিয়ে রাজনীতিতে একেবারে নতুন মুখ খোকন সেরনিয়াবাতকে একাই সবকিছু ম্যানেজ করতে হচ্ছে। ফলে একদিকে নিজ দলের অভ্যন্তরীন বিরোধ, বাহিরে জাপা, ইসলামী আন্দোলন, রূপনসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়াইটাও নৌকার প্রার্থীকে একাই করতে হচ্ছে।
সূত্রমতে, মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর সাদিক আব্দুল্লাহ মন খারাপ করলেও বলেছেন চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে সমর্থন দেবেন। কিন্তু ঢাকা থেকে দুটি ভিডিও কনফারেন্স করা ছাড়া অদ্যবর্ধি বরিশালে এসে খোকনকে তার প্রত্যক্ষ সমর্থন দিতে দেখা যায়নি। এমনকি তার (সাদিক) অনুসারীরাও নৌকার প্রার্থীর পাশে নেই। তাই ঘরের ভেতর দোলাচলে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে নৌকার প্রার্থীকে।
ভোটের লড়াই ॥ জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস গত সিটি নির্বাচনেও অংশ নিয়ে হেরে গেলেও নগরবাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। আবার বিগত সময়ের সিটি নির্বাচনে বিভিন্নজনকে প্রার্থী করা হলেও এবারই প্রথম হেভিওয়েটের মেয়র প্রার্থী দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশালবাসীর কাছে বেশ সুপরিচিত, কর্মীসমর্থকদের কাছেও তিনি জনপ্রিয়। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ইসলামী আন্দোলন ফয়জুল করীমের ছোট ভাই দলের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়েরের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে রেখেছে। কোনোভাবে ফয়জুল করীম আটকে গেলে আবুল খায়ের বিসিসি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ থাকায় এবার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা হেভিওয়েটের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারীদের ভিন্নমত। তাদের দাবি, বরিশাল সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পেছনের কারণ ভিন্ন। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের যে পক্ষের সঙ্গে চরমোনাই পীরের ভাল সম্পর্ক ছিলো, তাদের সাপোর্টের কারণেই ফয়জুল করীম প্রার্থী হয়েছেন। যাদের কারণে এমন দিন দেখতে হচ্ছে, তারাই খোকন সেরনিয়াবাতের বিরোধিতা করছেন।
বরিশাল নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, আমরা সন্দেহ করছি কোনো একটি গোষ্ঠী ফায়দা লুটতে ফয়জুল করীমকে প্রার্থী করেছেন। যদিও কোনো ষড়যন্ত্রেই কাজ হবেনা। আমাদের সাংগঠনিক অবস্থান খুব ভালো। আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে সচেতন নগরবাসী উন্নয়নের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকেই বিজয়ী করবেন।
আওয়ামী লীগের একটি অংশের সাপোর্টের বিষয়ে হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, যদি কেউ বলে থাকে আওয়ামী লীগের একটি অংশ আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিয়েছে, এটা আমার জন্য পজেটিভ। কারণ তারাইতো তাদের একদল আমাকে দিয়ে দিয়েছে, তাহলে আমার নির্বাচিত হতে আর কোনো সমস্যা নেই।
খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান বলেন, দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা কেউ নৌকার পক্ষে মাঠে নামেননি। এতে করে প্রমানিত হচ্ছে তারা নৌকার বিরোধীতা করছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অপর সদস্য এবং বিএম কলেজের ভিপি মঈন তুষার বলেন, দলের মধ্য থেকে ষড়যন্ত্র করে শওকত হোসেন হিরণকে যেভাবে হারানো হয়েছিল, এবার খোকন সেরনিয়াবাতের বেলায়ও সেই একই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে নগরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বর্তমান মেয়র ও তার ছয় খলিফার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা এখন ক্লান্ত হয়ে পরেছি। এসব কাটিয়ে উঠে উন্নয়নের পক্ষে আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ইনশআল্লাহ নৌকাকে বিজয় করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নগরীর সচেতন ভোটারদের মতে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঘরের মধ্যে যে পরিস্থিতি তাতে নৌকার প্রার্থীকে নিজের ঘর ও বাহিরে একাই লড়তে হচ্ছে। তাই জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাকের পার্টি ও বিএনপি ঘরোনার স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনের সাথে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী যুদ্ধ কঠিন হয়ে পরেছে।
প্রধানমন্ত্রী আমাকে কাজ করতে পাঠিয়েছেন: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীন মেয়র প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের সাথে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আমির কুটিরসহ বরিশালের বিভিন্ন এলাকার হরিজন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন লাবুর সভাপতিতেত্ব মতবিনিময় সভায় নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে একটি জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করবো। নগরী থেকে জলাবদ্ধতা দূর করে বসবাস উপযোগী করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে কাজ করতে পাঠিয়েছেন। নির্বাচিত হলে বরিশালকে একটি নতুন বরিশাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এসময় খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মীনী লুনা আব্দুল্লাহ, কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, মহিলা আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি ফেরদৌস জাহান মুন্নি, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান মধু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মঈন তুষার উপস্থিত ছিলেন।
জাপা চেয়ারম্যানের প্রচারণা তদন্তের নির্দেশ: প্রচারণা নিষিদ্ধের সময়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh