দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শত শত মহিষ ও গরু নিয়ে চর জাগা যমুনার বুকে জমায়েত হয়েছেন মানুষ। আর এই গরু ও মহিষের খামার দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ জমায়েত হচ্ছে যমুনার চরের বুকে। এই যাযাবর খামারগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা হতে একত্রিত হয়ে যমুনার চরে মহিষ ও গরুর ভরণ-পোষণ করছে। তারা সবুজ কাশফুল দিয়ে মহিষ ও গরুর খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন।
বিশাল এলাকায় অবস্থিত এই খামারের এক প্রান্তে নদী রয়েছে, যা খামারিদের জন্য মহিষ ও গরুগুলোর পানি পান করা ছাড়াও গোসল করানো সুবিধা পাচ্ছে। তাদের খামারে বহু প্রজাতির মহিষ ছাড়াও রয়েছে গরুর বিভিন্ন জাত। এদের মধ্যে মানিকগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর জেলা থেকে একত্রিত হয়ে এনায়েতপুর থানা আওতাধীন ঘাটাবাড়ী, উতুলি, বাঐখোলা, মালিপাড়া, নওহাটা, তেগুরী, গোসাইবাড়ি, কুচেমোড়া ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাদের এ খামারে প্রায় ৪শ ছোট বড় মহিষ ছাড়াও কয়েক’শ গরু রয়েছে।
গরু ও মহিষ এর খামারিদের একজন মকবুল হোসেন বলেন, আমার ১৫টি মহিষ রয়েছে। আমার মতন অনেকে একসাথে এসে এখানে মহিষ ও গরু গুলো খাওয়াচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকায় ঘাস কম থাকায় এখানে এসেছি, প্রায় ছয় মাস যাবৎ অবস্থান করছি আগামী বর্ষা মৌসুমে যার যার এলাকায় চলে যাব।
আরেক খামারি জাহিদ হোসেন সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, এখানে নদী নিকটে হওয়ায় এবং সবুজ ঘাস বেশি হওয়ার কারনে খামার পরিচালনা করতে খুব সহজলভ্য হচ্ছে। তিনি এ প্রতিবেদককে আরো বলেন, এখানকার লোকজন অনেক ভাল। আমাদের খুবই সাহায্য সহযোগিতা করছে, আশা করি প্রতি বছর এই সময়ে আমরা এখানে গরু ও মহিষ নিয়ে আসি এবং ভবিষ্যতেও আসব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার সংবাদ সারাবেলাকে জানান, প্রতি বছরই সিরাজগঞ্জে যমুনার চরে গজিয়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাওয়ানোর জন্য পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে বাথানিরা গবাদিপশু নিয়ে আসে। বর্ষা মৌসুমে চরগুলোতে পানি ওঠার আগেই তারা আবার নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যায়।