মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অবহেলায় বেড়ে ওঠা আগাছা হিসেবে পরিচিত বেড়ালতা বা ঢোল কলমি গাছ। কয়েক বছর আগেও ঢোল কলমি গাছ দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলেই একটি পরিচিত নাম ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে এই গাছটি।
অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলাতেও ঢোল কলমি বা কুলুমগাছ বিলুপ্তির পথে। অনাদর থাকলেও আগে দেশের প্রায় প্রত্যেক এলাকায় রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে, মাঠে-ঘাটে, জলাশয়ের ধারে, খাল বিল সর্বত্রই চোখে পড়তো এ গাছ। মূলত ঢোল কলমি, গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। সবুজ পাতার গাছটি ছয় থেকে দশ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে অযতেœ অবহেলায় জন্ম নেওয়া ঢোল কলমি গাছের ফুল যেকোন বয়সি প্রকৃতি প্রেমিকের দৃষ্টি কাড়বে।
পাঁচটি হালকা বেগুনি পাপড়ির কিছুটা মাইক আকৃতির ফুলটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। সারা বছরই ঢোল কলমির ফুল ফোটে । তবে বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে ঢোলকলমি ফুল বেশি দেখা যায়। আর একটি মঞ্জরিতে চার থেকে আটটি ফুল থাকে। মধুর জন্য ফুলে আবার কালো ভোমরাও আসে।
অযতেœ অবহেলায় জন্ম নেয়া ঢোল কলমি গাছ অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়ে জমির ক্ষয়রোধ করে ও সুন্দর ফুল দেয়। দৃষ্টিনন্দন ঢোল কলমি গাছ বিলুপ্তির পথথেকে রক্ষা করতে আমাদের কে উদ্যোগ নিতে হবে।