× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরিতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:২২ এএম । আপডেটঃ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:২৩ এএম

বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় খেলার নাম ব্যাডমিন্টন। ঘরে ঘরে খেলোয়াড় পাওয়া গেলেও আন্তর্জাতিকভাবে খেলার মতো তেমন কোন খেলোয়াড়কে এখনো পায়নি বাংলাদেশ অথচ ১৯৭২ সালেই বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৫০ বছরে এই ফেডারেশন তাহলে কি ভূমিকা রাখলো, আগামীতেই বা কি করার পরিকল্পনা করছে তা জানতে সংবাদ সারাবেলা মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাজেদা হক, ক্যামেরায় ছিলেন ফরিদ উদ্দিন।

সংবাদ সারাবেলা: বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বয়স তো অনেক হলো, তেমন কোনো স্টার এখনো পাচ্ছি না কেন?
কবিরুল ইসলাম শিকদার: প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি খেলা, সেই সাথে এক্সপেন্সিভও। ব্যয়ের বিষয়টি চিন্তা যদি করি, ব্যাডমিন্টনের বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে আমাদের যে বরাদ্দ দরকার সে পরিমাণ বরাদ্দ আমাদের নেই। ফলে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন কখনই খেলোয়াড় তৈরিতে মনোযোগ দিতে পারেনি। ধরেন ফুটবলে ২২ জন মিলে একটি বল দিয়েই খেলছেন, কিš‘ একটা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় একটা র‌্যাকেটেই খেলবেন। এই এক একটা ভালোমানের র‌্যাকেটের দাম কিš‘ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এক জোড়া কেডসের দাম ১৫ হাজার টাকা, শার্টলটার দাম ২৫০ টাকা। আর একটা গেম খেলতেই এক খেলোয়াড়ের কমপক্ষে ৩টা শার্টল লাগে। সবমিলিয়ে যে খরচ আছে, তা এই মুহূর্তে ফেডারেশনের জন্য একটু এক্সপেন্সিভ। সোজা কথা যদি বলতে বলেন, তাহলে অর্থের জোগানের অভাবে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন কিš‘ পিছিয়ে আছে। আমরা যদি থেলোয়াড়দের এসব সুবিধা দিতে পারতাম তাহলে ফেডারেশনেও আন্তর্জাতিকমানের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় থাকতো। আবার সরকার যদি আমাদের এই পরিমাণ বরাদ্দ দিতো, কিংবা ব্যক্তিগত স্পন্সর যদি পাওয়া যেতো তাহলেও ফেডারেশন এগিয়ে যেতো।

সংবাদ সারাবেলা:  ব্যাডমিন্টন তো জনপ্রিয় একটি খেলা? খেলোয়াড় সংকট কি হওয়ার কথা?
কবিরুল ইসলাম শিকদার: দ্যাখেন, শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলার নাম ব্যাডমিন্টন। এটা এমন একটা খেলা যেটা ছাদেও খেলা যায়, উঠোনেও খেলা যায়, মাঠেও খেলা যায়। সে কারণে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। তো খেলোয়াড় আছে ঠিকই, মানসম্মত খেলোয়াড় পা”িছ না। কারণে একটা তো উপরেই বললাম, অর্থ। এখানে কোন অর্থ নেই ফলে যারা খেলেন তারা একটা সময় পর অন্য পেশায় চলে যায়। আবার আমরা মানে ফেডারেশনও যদি তাদের প্রশিক্ষণ দিতো, দেশের বাইরে থেকে  যদি প্রশিক্ষক (মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া) আনা হতো তাহলে আরও ভালো খেলোয়াড় পেতাম। দ্যাকেন খেলোয়াড় শুধু উপকরণ দিলেই তৈরি হয় না, এজন্য দরকার প্রোপার ডায়েটও। আমরা কিš‘ তাও প্রোভাইড করতে পারি না।

সংবাদ সারাবেলা: দেশের মধ্যেও তো তেমন কোন সাড়া জাগানো প্রতিযোগিতার কথা শুনি না আমরা?
কবিরুল ইসলাম শিকদার: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন সাধারণত জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আয়োজন করে সামার টুর্নামেন্ট এবং র‌্যাংকিং টুর্নামেন্ট প্রায় নিয়মিতই আয়োজন করে ফেডারেশন। এখান থেকে আমরা বিজয়ী অনেক প্লেয়ার পাই। পুলিশ এবং আনসারদের মধ্যেই আমরা অনেক ভালো খেলোয়ার পাই। বাংলাদেশে এখন ব্যাডমিন্টন ডমিনেট করছে পুলিশ টিম, আনসার টিম, আর্মি টিম। সারা বাংলাদেশের প্লেয়ারদের নিয়েই প্রত্যকের ভিন্ন ভিন্ন টিম আছে। সেই সব খেলোয়াড়ই এখন বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন।

সংবাদ সারাবেলা: সম্প্রতি কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন কি?
কবিরুল ইসলাম শিকদার: ডিসেম্বর মাস জুড়েই ছিলো জুনিয়র টিমের প্রতিযোগিতা। মিক্সড ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমাদের জুনিয়র টিম। প্রতিযোগিতায় ছিলো ৮ দেশ। ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকার মতো দেশকে হারিয়ে মিক্সড ডাবল এবং ডাবলস এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।  

সংবাদ সারাবেলা:  এই যে অর্থ সংকট, এই সংকট দূর করতে ফেডারেশন কোন উদ্যোগ নি”েছ না কেন?
কবিরুল ইসলাম শিকদার: ফেডারেশনের সভাপতিসহ আমরা সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমাদের কোচ আনতে হবে বাইরের দেশ থেকে। এই কোচের মাধ্যমে আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলবো। এখন আমরা স্পন্সর খুঁজছি, পেয়েও যাবো আশা করছি। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আর টুর্নামেন্ট না করে, খেলেয়াড় তৈরি করবো। খেলোয়াড় তৈরি করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। খেলোয়াড়দের বয়সসীমা শুরু হবে ১০ বছর থেকে। অর্থাৎ স্কুলকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে খেলোয়ড়র নির্বাচন, সেই খেলোয়াড়ের পরিচর্চা এবং আন্তর্জাতিকমানের খেলোয়াড় জাতিকে উপহার দেয়াই এখন আমাদের ফেডারেশনের মুল লক্ষ্য।  করোনার ঝুঁকি একটু কমলেই আমরা এই খেলোয়াড় খোঁজার দৌড়ে নেমে যাব।  

সংবাদ সারাবেলা: সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর কোন উদ্যোগ কি ফেডারেশন নিয়েছে?
কবিরুল ইসলাম শিকদার: আমাদের বরাদ্দ অনেক কম, যা বরাদ্দ দেয় সরকার তা দিয়ে ফেডারেশনে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেই শেষ হয়ে যায়। কিš‘ আমরা চাইবো অন্তত দুজন কোচ (একজন ফিজ্যিক্যাল, একজন টেকনিক্যাল) নিয়ে আসতে। এদের জন্য প্রতি মাসে আমাদের ব্যয় হবে অন্তত ৮ লাখ টাকা। বছর হিসেব করলে দাঁড়ায় ৯৬ লাখ টাকা। বাস্তবতা হলো ফেডারেশনের পক্ষে এই টাকা সংগ্রহ করা অনেকটাই কঠিন। এজন্য আমরা সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাবো স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে আসতে। যারা ব্যাডমিন্টন প্রেমিক কিংবা যে কোন ধরনের খেলা ভালোবাসেন তাদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, আপনারা এগিয়ে আসুন। আপনাদের সামান্য সহায়তায় বাংলাদেশ পেতে পারে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়।




Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.