কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বিদেশি পতাকায় সয়লাব হয়ে গেছে। বাজারে এবং গাছের ডালে উড়ছে বিভিন্ন পতাকা।
বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই এক ধরনের ফুটবল উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। পথে-ঘাটেই পাওয়া যায় ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতাদের। বিশ্বকাপ রোমাঞ্চের জন্য অধীর আগ্রহে খেলা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে সমর্থকরাও। এরই অংশ হিসেবে বাড়ছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা বিক্রির হিড়িক। বিশেষ করে ভিনদেশি পতাকা উড়ানো ও অতিরিক্ত মাতামাতিকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না৷
কাতারে ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ।চার বছর পর পর বিশ্বকাপ শুরু হলেও মানুষের মন থেকে ফুটবলের আনন্দ কমে না। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ। অধীর অপেক্ষায় দিন গুনছেন ফুটবলপ্রেমীরা। নিচ্ছেন প্রিয় দলকে সমর্থনের প্রস্তুতিও। প্রিয় দলের পতাকা ও জার্সি সংগ্রহ করছেন অনেকে।
সরজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ মৌসুমী ব্যবসায়ী ফেরি করে পতাকা বিক্রি করছেন। তারা উপজেলার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কিংবা পথে হেঁটে হেঁটে পতাকা বেঁধে বিক্রি করে চলছেন।
পতাকা বিক্রেতা হামিদ খান জানান, প্রতি বিশ্বকাপ খেলার আগে আমি পতাকা বিক্রি করতে। গত ৭ দিন ধরে আমি এসেছি। আসার পর বেচা-কেনা কম ছিল। কিন্তু এখন দিন ঘনিয়ে আসায় বিক্রি বেড়ে গেছে। বিশ্বকাপের আগে তিনি পতাকা বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করবেন এটা আশা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি ও স্পেনসহ অন্যান্য দেশের পতাকা বিক্রি করছেন। প্রকারভেদে প্রতিটি পতাকা বিক্রি করছেন ৬০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক বেশি থাকায় এই দুই দেশের পতাকা বিক্রি গ্রাম অঞ্চল থেকে শহর এলাকায় বেশি।
ভ্রামমান পতাকা বিক্রেতা জসিম বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করি। তিনি বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন ৩০-১০০ টাকা, ব্রাজিলে পতাকা ১৬০ টাকা, আর্জেন্টিনার পতাকা ১৫০ টাকা, জার্মানির পতাকা ১৫০ টাকা, স্পেনের পতাকা ১৫০ টাকা ও পর্তুগালের পতাকা ১২০ টাকায়। তবে এ বছর সবচেয়ে বেশি চাহিদা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও জার্মানির পতাকার।
আর ও দেখা যায়, রাস্তা ও বাজারে পায়ে হেঁটে পতাকা বিক্রি করছে। হাতে রয়েছে ছোট, মাঝারি, বড় আকারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের পতাকা। ব্যাগে মাথার ব্যান্ডানা, হাতের ব্রেসলেট বা রিস্টব্যান্ড, কাগজের পতাকা ইত্যাদি নিয়ে চলচ্ছে রাস্তায়। পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে অল্প টাকা লাভে তিনি বিক্রি করছে পতাকা। বড় আকারের পতাকা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি ১০০ টাকা, ছোট আকারের ২০ থেকে ৩০ টাকা,ও লাঠি পতাকা ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের আমেজ। পতাকার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, চায়ের দোকান থেকে বাড়ির উঠোনে যুক্তিতর্কে মেতে উঠবেন ফুটবলপ্রেমীরা।