হঠাৎ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত মাছ। মাছ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ও পর্যটকদের পাশাপাশি এই মৃত মাছ দেখতে ও কুড়াতে মানুষের ঢল নামে।
বস্তা ও পলিটিন নিয়ে মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছে অনেকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছ কুড়িয়ে ঘরে ফিরেছেন অনেকে। আবার এই মাছ অনেকে বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে গেছে।
এদিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত যতদূর চোখ যায় শুধু মাছ আর মাছ। তবে ঢেউয়ের তোড়ে বালিয়াড়িতে উঠে আসা এসব মাছ সবই মৃত ও ছোট প্রজাতির।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জোয়ারের সময় এ সব মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে এত বিপুল সংখ্যাক মাছ কোন সময় সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসেনি।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের ওসি দেলোয়ার বলেন, মাছ কুড়াতে মানুষের ভিড় জমেছে। বালিয়াড়িতে গিয়ে দেখি নানান প্রজাতির মাছ ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে। তবে এই মাছগুলো কোথায় থেকে এসেছে সেটা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
তবে অনেকে ধারণা করছেন সাগর থেকে মাছ আহরণ করে মাছ বুঝায় ট্রলার গন্তব্যে যাওয়ার পথে সমুদ্র সৈকতের পয়েন্টে ডুবে যাওয়ার চেষ্টাকালে মাছ ফেলে দিয়ে চলে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কলাতলী সৈকতের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভেসে আসা ছোট আকৃতির এসব মাছ ‘চামিলা’ হিসেবে পরিচিত হলোও স্থানীয়দের কাছে (পোউ) মাছ হিসাবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকালের দিকে কয়েকটি ট্রলার সাগরে এসব মাছ ফেলে দিয়ে চলে যায়। জালে অতিরিক্ত মাছ ধরা পড়ায় এসব মাছ তারা ট্রলারে উঠাতে পারছিলো না। মাছ ট্রলারে উঠাতে গেলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই হয়তো মাছ গুলো তারা ফেলে দিয়ে চলে গেছে।
সৈকতে পর্যটক সেবায় নিয়োজিত বীচকর্মী পারভেছ জানান, ঢেউয়ের সঙ্গে হঠাৎ বিপুল পরিমাণ ছোট মরা মাছ ভেসে আসছে। ভেসে আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগম হয়।
এর আগে সমুদ্র সৈকতে থেকে ভেসে এসেছিল কয়েকটি মৃত তিমি এবং কয়েক হাজার টন বর্জ্য।