× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

মোজাম্মেল হক নিয়োগী

২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২৫ এএম

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও সংবেদনশীল ইস্যু হলো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। দেশের সচেতন সমাজের দৃষ্টি এখন সিলেটের দিকে নিবদ্ধ এবং সেখানে কী ঘটতে যাচ্ছ জানার জন্য প্রতিটি মুহূর্তেই খোঁজ-খবর রাখছেন। আন্দোলনের শেষ পরিণতি কী হবে বা হতে পারে তা জানার জন্য অনেকেই উৎসুক ও  উদ্বিগ্ন। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা অপ্রত্যাশিত, অশুভ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টের জন্য ভয়ঙ্করও বটে। আন্দোলনের ইস্যু এবং এর কারণ বিশ্লেষণ করলে প্রশ্ন জাগাটা খুব স্বাভাবিক যে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন কি এতো দূর গড়ানো উচিত ছিল? শুরুতেই কী এর মীমাংসা করা যেত না? কিংবা কেন এতো দূর গড়াল? আন্দোলনের মূল কারণ কী ছিল এবং কীভাবে এই পর্যায়ে এসেছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার আগে কেন ও কীভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছে পেছনে ফিরে দেখা যাক।

পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায় ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সমস্যা জানানোর সময় প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা সেল ফোনে কোনো ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন যার কারণে আবাসিক ছাত্রীরা তখনই ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে বিক্ষোভ করেন। অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা কী রকম দুর্ব্যবহার করেছিলেন তার পরিষ্কার কোনো তথ্য বা খবর হয়তো গণমাধ্যমে এসেছে যা আমাদের চোখে পড়েনি। অবশ্য কোনো অসম্মানজনক আচরণ তিনি করেছিলেন বলে ছাত্রীরা রাতেই প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ হলের ব্যবস্থাপনা ও ছাত্রীবান্ধব প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ করার জন্য তিন দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন, আন্দোলন শুরু করেন এবং রাতেই উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে তাদের দাবি পেশ করেন। উপাচার্য ছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আশ^স্ত করলে ছাত্রীরা হলে ফিরে যান। ১৪ জানুয়ারি রাতের আন্দোলনের রেশ ধরে বিশ^বিদ্যালয়ের গোল চত্বরে শিক্ষার্থীরা জমায়েত হন এবং উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসলে হলের অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য উপাচার্য এক মাসের সময় চাইলেও প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের বিষয়টির সুরাহা করেননি। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সš‘ষ্ট হতে পারেননি। ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের প্রশ্নে অনড় এবং আপসহীন মনোভাব প্রকাশ করেন। ফলশ্রুতিতে তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নেন। ওই সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয় এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে অবস্থান অব্যাহত রাখেন। ছাত্রলীগের হামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর ওই দিন সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা ছাত্রীদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।

একই দিনে অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারির বিকেলে উপাচার্য তাঁর কার্যালয় থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে যাওয়ার সময় তাঁর পথ রোধ করেন আন্দোলনকারীরা। উপাচার্য তখন আত্মরক্ষার্থে পাশের আইআইসিটি ভবনে প্রবেশ করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা মেরে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। সেদিনই প্রক্টরের আহ্বানে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং তালাবদ্ধ ভবন থেকে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশের ক্রিটিক্যাল রেসপন্স টিমের ইউনিটও (সিআরটি) ক্যাম্পাসে উপিস্থত হয়।
উপাচার্যকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীরাও তখন পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি আন্দোলনকারীদের পক্ষ প্রথমে ককটেল ও গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে এবং উপাচার্যকে মুক্ত করে নিজ বাসভবনে নিয়ে যান। ১৬ তারিখ রাতেই উপাচার্য জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন এবং শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেন। একই দিনে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে প্রাধ্যক্ষের পদে নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ কিংবা হল ত্যাগের নির্দেশ কোনোটাই মানেননি। তাঁরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে থাকেন, বাইরে থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

জানুয়ারির ১৭ তারিখ রোববার আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরদিন শিক্ষার্থীরা মুক্তমঞ্চ থেকে উপাচার্যকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন এবং পদত্যাগ ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান এবং একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। পূর্বের ছাত্রীদের তিন দফা দাবিতে অটল না থেকে এখন নতুন তিন দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন আরো জোরদার করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯ জানুয়ারি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তাদের মধ্যে ২২ তারিখ পর্যন্ত ৯ জন অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং তিনজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানা যায়। ইত্যবসরে শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য আহ্বান জানিয়ে ঢাকায় আসতে বললে শিক্ষার্থীরা ঢাকা আসার জন্য অপারগতা প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেট যেতে বলেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী ২২ তারিখ রাতে শাবিপ্রবির পাঁচ শিক্ষকের সঙ্গে সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেন। তিনি উদ্ভূত পরিিস্থতি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য আহ্বান জানালেও ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপর মধ্য রাতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করতে রাজি হলে রাত একটা থেকে সোয়া দু’টা পর্যন্ত আলোচনা কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে অনড় মনোভাব প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশে বিশ^বিদ্যালয়ের লেখাপড়া, আবাসিক ব্যবস্থা, হলের নি¤œমানের খাবার, সেশনজট ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এসব সমস্যার মধ্যদিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হ”েছ বছরের পর বছর। তবে সমস্যা যখনই তীব্র হয় তখন শিক্ষার্থীরা সমাধানের দাবি উত্থাপন করেন কিন্তু কার্যত দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের দাবিদাওয়া গোঁজামিল কিন্তু শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে তাঁরা কেন মেনে নেবেন। শিক্ষকের কাছ থেকে অবশ্যই দুর্ব্যবহার কখনোই কাম্য নয়।

পৃথিবীর অন্য দেশের বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবরাখবর খুব বেশি জানা নেই। তবে ভাসা ভাসা যা জানা যায় তাতে মনে হয় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংগঠন রয়েছে যে সংগঠনের কাজ হলো  শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও প্রাপ্য অধিকার ভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করা, সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীকে সাহায্য সহযোগিতা করা, আর্থিক সংকটে পড়লে আইনানুগ কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বইয়ের সংকট হলে বই দিয়ে সাহায্য করা ইত্যাদি মানবিক সহায়তা প্রদানের করে থাকে। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করেন, বাংলাদেশের মতো এমন আন্দোলনের প্রয়োজন হয় বলেও মনে হয় না। শিক্ষকও ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার সকল বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে এমন ঘটনা আশা করতে পারি না। হয়তো অনেকেই বলবেন, বাংলাদেশ যেদিন উন্নত দেশের মর্যাদা পাবে সেদিন তাদের মতোই হবে আমাদের শিক্ষাঙ্গন। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় থাকি।

বাংলাদেশে স্কুল-কলেজে কালেভদ্রে বিশেষ ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হতে দেখা গেলেও বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন নিত্যঘটনা হিসেবে দেখা যায়। এর নানাবিধ কারণ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবও যে যথেষ্ট আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সিলেটের ঘটনাটি কেন এই পর্যায়ে এসেছে? এর কারণ কী? কেন প্রাধ্যক্ষ দুর্ব্যবহার করলেন যাতে ছাত্রীদের অসম্মান হয়? অসম্মানজনক আচরণ করলে তারা আন্দোলন করবেন এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা আর এই ধারণা কি একজনের প্রাধ্যক্ষের থাকার কথা নয়? তিনি কী বুঝতে পানে না যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা কোর্স শেষ করেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করবেন, তারাও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হলেন বলেই আজকে এই আন্দোলন এতো দূর এসেছে। মাত্র কয়েক মাস আগেই সিরাজগঞ্জের এক শিক্ষিকা ছাত্রদের কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দিয়েছেন আর সেই ঘটনা নিয়ে ছাত্ররা তাঁকে বরখাস্ত করার জন্য আন্দোলনে নেমেছিলেন। সারাদেশের মানুষই তাঁকে নিয়ে কৌতুক-বিদ্রুপ করেছে। গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘটনা, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসির ঘটনা এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের জন্য কতটুকু সহায়ক এবং কতটুকু বৈরী প্রভাব ফেলেছে তা ভেবে দেখার দরকার। এভাবে যদি একটার পর একটা ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে লেখাপড়ার পরিবেশ থাকবে কিনা ভাবা দরকার। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকের আচরণ অশোভন হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। বিশ^বিদ্যালয় তো আর প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নয় যে ছাত্রছাত্রীদের কান মলে দিলে কিংবা বেত্রাঘাত করলে তারা নিঃশব্দে সহ্য করবেন। শিক্ষকরা যদি ছাত্রছাত্রীদের মডেল না হতে পারেন তাহলে জাতীয়ভাবে তাঁদের অবদান কীভাবে মূল্যায়ন করা উচিত তাও ভাবা দরকার।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসি হলে ভিসি স্বে”ছাচারী হয় এমন মতামতও অনেকে দিেচ্ছন। আমরা জানি, ভিসি পদটি প্রশাসনিক যদিও মর্যাদাও অনেক। এই পদে একজন বিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তি থাকবেন যাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা আছে, তিনি ক্রাইসিস ম্যানেজ করতে পারেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখবেন। অযোগ্য লোক যখনই প্রশাসনে বসবেন তখনই চতুর্মুখী সমস্যা দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয় মেয়াদে একই ব্যক্তি যদি ভিসি হন তাহলে সহকর্মী অনেকেই ঈর্ষান্বিত হতে পারেন এবং আন্দোলনের সুযোগ খুঁজতে পারেন—অসম্ভব কিছু নয়। দ্বিতীয় মেয়াদে উপযুক্ত ব্যক্তি হলে যেমন ক্ষতির কোনো কারণ নেই, স্বেচ্ছাচারিতারও ভয়ও থাকে। এই বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবা দরকার বলে আমরা মনে করি।

সব মানুষ এক রকম বা একই স্বভাবের হয় না। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও হয়তো অনেকেই আছেন যারা উগ্র আচরণ করে থাকেন। তাদের মানিয়ে নিয়েই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখা শিক্ষকেরই দায়িত্ব। কীভাবে মানিয়ে নেবেন তা শিক্ষকের ব্যাপার, তাঁর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট দক্ষতার ব্যাপার, তাঁর বিদ্যাবুদ্ধির জোরের ব্যাপার।  যেকোনো আন্দোলনই আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা যায় যদি উভয়পক্ষের সদি”ছা থাকে। মীমাংসা মানেই উইন-উইন পর্যায়ে থাকতে হবে। অন্যথায় মীমাংসার আলোচনাই ব্যর্থ। শাবিপ্রবির উদ্ভূত পরিিস্থতি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক তা সচেতন মানুষদের প্রত্যাশা।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.