× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ

আলী আদনান

২৪ জুন ২০২২, ০৮:৫১ এএম

আলী আদনান

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক পথচলায় তেহাত্তর বছর পূর্ণ করল। এটা অনেক বড় বিষয়। উপমহাদেশের রাজনীতির মাঠে দলটির এ যাত্রা একেবারে সহজ ছিল না। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন, সর্ববৃহৎ, ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। বলা যায়, দীর্ঘ পথচলার ভেতর দিয়ে উপমহাদেশের রাজনীতির মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের সুখের ইতিহাস খুব কম। গল্পের রাজা সুয়োরানী ও দুয়োরানীর ক্ষেত্রে দুয়োরানীকে যেমন সকল কাজ করেও বঞ্চিত হতে হয়, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভাগ্যটাও তেমন। দলটির জীবনে জোয়ার যেমন এসেছে তেমনি বারবার এসেছে চরম ভাটা। ক্ষমতা ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানে যেমন আওয়ামী লীগ একাধিকবার গেছে তেমনি নাম নিশানা মুছে যাওয়ার অবস্থাও হয়েছে অনেকবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো কিংবদন্তী নেতা যেমন দলটির নেতৃত্বে ছিলেন তেমনি মোশতাকের মতো কুলাঙ্গারও দলটিতে থেকে রাজনীতি করে গেছে।   

আওয়ামী লীগ একটি গণসংগঠন। অসংখ্য কর্মী সমর্থক দলটির অন্যতম ভিত্তি। এই ভিত্তির উপর নির্ভর করে সংগ্রাম, সাফল্য, ঐতিহ্যের আওয়ামী লীগের সামনে অনেকগুলো অর্জন এক হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠার এ শুভলগ্নে টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতাসীন এ দলটিকে করোনা নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এছাড়াও নানা ধরনের জাতীয় দুর্যোগ তো আছেই। বঙ্গবন্ধু ১৯৭০-এর নির্বাচন, ঘূর্ণিঝড় যেভাবে সামাল দিয়েছিলেন, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও একইভাবে অনেকগুলো ইস্যুকে সামনে নিয়ে একা লড়াই করে যাচ্ছেন। এ যেন পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লড়াই। 

এদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যেটি দেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে একক এবং নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা রেখেছে। দেশের বিভিন্ন সংকট ও দুর্যোগে অন্যদলগুলো যখন নানা নাটকীয়তায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় ক্ষেপণ করেছে, আওয়ামী লীগ তখন তার অবস্থানে অটল থেকে জনগণকে সংগঠিত করেছে। অন্যদলগুলো যখন কখনো ধর্মের দোহাই দিয়ে, কখনো সমাজতন্ত্রের দোহাই দিয়ে শুধু বড় বড় বিবৃতি দিয়েছে, তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের রক্ত-ঘাম- শ্রমে আন্দোলনকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে লক্ষস্থলে। অন্যদলগুলো যখন ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া নিয়ে অহংকারে ব্যস্ত, আওয়ামী লীগ তখন নির্মাণ করছে নতুন ইতিহাস।

যেহেতু আওয়ামী লীগ কোন নির্দিষ্ট শ্রেণিভিত্তিক দল নয় বরং 'ওপেন ডোর' রাজনীতিতে বিশ্বাসী, সেহেতু আওয়ামী লীগ রাজনীতির জোয়ারের সাথে খড় কুটোও অনেক সময় এসেই যায়। সবসময় সব খড়কুটো পরিষ্কার করা সম্ভবও নয়, সেটা হয়েও উঠে না। খড়কুটো আটকাতে গিয়ে জোয়ারের মুখে বাঁধ দেওয়া হবে সেটাও গণমানুষের রাজনীতিতে কাম্য নয়।

আওয়ামী লীগের পথচলায় সবচেয়ে বড় অহংকারটির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি গণমানুষের মন বুঝতে পারতেন। এই বুঝতে পারাটাই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম করিয়েছে। তবে অনেক সময় বুঝলেও কিছু করার থাকে না। তেমনি একটি প্রেক্ষাপট উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। আওয়ামী লীগের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবন অনেকটা একসূত্রে গাঁথা। পৃথিবীর বুকে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে একসুতায় গেঁথেছে। 

আওয়ামী লীগ একটি বড় ও জনবহুল দল। সমসাময়িক পৃথিবীতে অন্যতম বড় একটি বড় মিছিলের নাম আওয়ামী লীগ। এই মিছিলে অনেকে আসে, অনেকে যায়। ইতিহাস কাউকে স্মরণ রাখে, কাউকে রাখেনা। কেউ দাগ রাখে আবার কেউ হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ কেউ নিজে দায়ী। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দায়ী নিয়তি। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শামসুল হক, আবুল মনসুর আহমদ, মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, আতাউর রহমান খান- প্রমুখ নেতাদের জীবন বিশ্লেষণ এই ধারণারই জন্ম দেয়। 

আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের মতাদর্শ অনুসারী ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগে টিকে থাকাও একটা বড় যোগ্যতা। সেটা অনেকে পারেন না। আ স ম রব থেকে ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী থেকে মাহমুদুর রহমান মান্না- এমন অনেক নাম এই তালিকায় আছে। আবার আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করতে করতে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সমমনাদের কাতারে এসেছেন, সুবিধা ভোগ করেছেন- এমন নেতাও কম নয়।  

আওয়ামী লীগের বড় সম্পদ তার সুবিশাল কর্মীবাহিনী। এরা কোন তত্ত্ব মুখস্ত করে না। রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, আফগানের ধার করা উদাহরণ দিয়ে স্লোগান দেয় না। তবে এরা দলকে ভালবাসে, দেশকে ভালবাসে। দাবি করা যায়, ছয় দফার পর থেকে এই বিশাল কর্মী বাহিনীর ঐক্যের নাম, প্রতীকের নাম, আদর্শের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ঐক্যের সফল নেতা। আজকের পৃথিবীতে এমন উদাহরণ খুব বেশী নেই। 

আওয়ামী লীগের ইতিহাস রক্তের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা কর্মীরা সবসময় রক্ত দিতে অভ্যস্ত। দলের প্রয়োজনে দেশের প্রয়োজনে এরা অতীতে কখনো রক্ত দিতে কুণ্ঠা বোধ করেনি।  ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ৭১ যেমন আওয়ামী লীগের কর্মীদের শ্রম ও রক্তের ফসল তেমনি ৭৫- পরবর্তী নানা আন্দোলন সংগ্রামে যখন আওয়ামী লীগকে মুছে দেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে তখনো আওয়ামী লীগ কর্মীদের রক্তের স্রোতেই সেই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করা হয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, আজকের আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য নেতা কর্মীর লাশের উপর। আওয়ামী লীগের চলার পথ মসৃন হয়েছে অসংখ্য কর্মীর শরীর থেকে ঝরা রক্তের দ্বারা।  আমি জানি, এ লেখাটি এতোটুকু যিনি পড়েছেন তিনি নিশ্চয় সুবিধাবাদী বা টাউট বাটপারদের উদাহরন টানবেন। আপনাকে বলি, এতবড় একটি দলে তেমন কিছু লোক থাকবেই। তা বলে ত্যাগীদের অবদানকে অস্বীকার করবেন কীভাবে?

আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতির মাঠে এতো দীর্ঘসময় সফল ভাবে টিকে গেল? অনেক লড়াই সংগ্রামের পরও কেন আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যায়নি? এমন প্রশ্ন খুবই স্বাভাবিক। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর সবাই ধরেই নিয়েছিল আওয়ামী লীগ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এই সময়টা ছিল আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন সময়! প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা যেত না। সামরিক শাসকদের রোষানলে পড়তে হতো। কোন এলাকায়, গ্রামে বা মহল্লায় কোন পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থন করে এমনটি জানাজানি হলে সে পরিবারকে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর। তার নেতৃত্বের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশে নতুন করে জাগতে শুরু করে।

এই যে আওয়ামী লীগ মাঠ থেকে হারিয়ে যায়নি, আবার ঘুরে পথচলা শুরু করেছে এই কৃতিত্ব দলটির কর্মীবাহিনীর। তারা কখনো রাজপথ ছাড়েনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা শুধুমাত্র দেশকে ভালোবেসে,  কোন পার্থিব পাওয়ার আশা মাথায় না রেখে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে, প্রাণ দিয়েছে ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পুরো আশির দশক, নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে ও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। পৃথিবীতে অন্যকোন দেশে অন্যকোন দলের রাজনৈতিক কর্মীরা শুধুমাত্র দলকে ভালোবেসে কখনো এভাবে প্রাণ দিয়েছে কিনা তা গবেষণার বিষয়। 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর বিভিন্ন সময়ে প্রায় উনিশ বার হামলা করা হয়। ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় এসব হামলার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জীবননাশ করা। প্রায় প্রতিটা বারই তাকে তার দলের নেতাকর্মীরা আগলে রেখেছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারী চট্টগ্রাম লালদিঘী মাঠে যে হামলা হয়েছিল সে হামলায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৪ জন ( মতান্তরে অনেক লাশ তৎকালীন এরশাদ সরকারের পুলিশ গুম করে ফেলেছিল।) নিহত হয়েছিল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নেতাকর্মীরা নিজের প্রাণের বিনিময়ে দলীয় নেত্রীর প্রাণ রক্ষা করেছে। যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের মধ্যে এ বিশ্বাসটুকু ছিল শেখ হাসিনা বেঁচে গেলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে আর আওয়ামী লীগ বাঁচলে বেঁচে যাবে বাংলাদেশ! আওয়ামী লীগ গর্ব করতে পারে আওয়ামী লীগের কর্মীরা শেখ হাসিনার আড়ালে বাংলাদেশকেই দেখে। 

আওয়ামী লীগের তিনটি বৈশিষ্ট্য আওয়ামী লীগকে অন্য দলগুলোর চেয়ে রাজনীতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এদেশের অন্যকোন রাজনৈতিক দল তা করতে পারেনি। প্রথমটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ জনগণের পালস্ বুঝে। জনগণ কী চায় কীভাবে চায় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা তা পড়তে পারেন অবলীলায়। ফলে আওয়ামী লীগের ভিত্তি সময়ের ব্যবধানে শক্তিশালী থেকে অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো আওয়ামী লীগ রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি মোকাবিলা করতে পারে। এটা সহজ ব্যাপার নয়। সাম্প্রতিক সময়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যখন নানা ধরনের জনগণ বিরোধী পদক্ষেপ নেয়, ক্ষমতার লোভে জ্বালাও পোড়াও সহ নানাধরনের বিধ্বংসী পথ বেছে নেয় আওয়ামী লীগ তখন হাঁটে রাজনীতির পথে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোর পদক্ষেপ তখন তাদের জন্য আত্মঘাতী পথ রচনা করে। আওয়ামী লীগের তৃতীয় বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো দলটির নেতা কর্মীরা কখনো রাজপথ ছাড়ে না। সুসময় ও দুঃসময়ে তারা মাঠে থাকে। দলটি যখন সরকারে থাকে তার চেয়ে বিরোধী দলে থাকাকালীন রাজপথে তাদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী ও জনপ্রিয়। শত বাধা বিপত্তির মুখেও দলটির নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে অতীতে যায়নি, ভবিষ্যতেও কখনো মাঠ ছাড়বে এমনটি মনে হয় না। 

দৃশ্যত এদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকলেও আদর্শগত দিক থেকে এদেশে দুটো রাজনৈতিক  ধারা আছে। একটি আওয়ামী লীগ অন্যটি এন্টি আওয়ামী লীগ। বিএনপি, জামাত, বাম, ডান, চীন পন্থী, আফগান বা পাকিস্তান পন্থী, অমুক ধারা,  তমুক ধারা- দিনশেষে এরা সবাই কিন্তু আওয়ামী লীগ বিরোধী।  সকল এন্টি আওয়ামী লীগারদের সাথে লড়াই করেই আওয়ামী লীগকে মাঠে টিকে থাকতে হয়। নানারকম বাধা বিপত্তি মোকাবিলা করেও আওয়ামী লীগ এখনো লাখ লাখ কর্মী ও কোটি কোটি সমর্থকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তারা ইতিহাসের অংশ নয়, নতুন ইতিহাসের নির্মাতা। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। কারণ, অতীতে ( মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে বারবার) প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি যারা আছে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেমন চায়নি তেমনি দেশের উন্নয়নও চায় না। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতার  প্রশ্নে

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে অনেক নেতিবাচক সমালোচনা আছে। যদিও এমন অন্তর্কোন্দল প্রত্যাশিত নয়। আবার এটাও সত্য, বারবার প্রমাণ হয়েছে যে, দলের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে সকল অন্তর্কোন্দলকে মিথ্যা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন তাদের কাছে দেশের স্বার্থেই দল বড়। বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেকের পাপ কাজের দায়ভার আওয়ামী লীগের কাঁধে এসে পড়ে। কিছুটা বিতর্কের জন্ম হয়। কিছু হৈ চৈ হয়। বিরোধী শক্তি তা নিয়ে নোংরা রাজনীতির চেষ্টা করে। তবে অতীত প্রমাণ করেছে, সকলের বগলেই গন্ধ আছে। সেই গন্ধগুলোকে সামনে নিয়ে আসা এবং জনগণকে সতর্ক রাখা আওয়ামী লীগেরই দায়িত্ব।

আওয়ামী লীগের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক,  এটাই প্রত্যাশা। 

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.