× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বাজেটে গরিবের ভাবনা আছে কি?

রঞ্জন মল্লিক

০৫ জুন ২০২২, ১৪:৫১ পিএম

প্রতীকী ছবি

৯ জুন বাজেট প্রস্তাব পেশ করার একটি সম্ভাবনা আছে জাতীয় সংসদে। বাজেট প্রস্তাবে প্রতি বছরই দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য নানা ধরনের কর্মপরিকল্পনা থাকে। তাছাড়া দেশের জনগণের কথা মাথায় রেখে কীভাবে রাজস্ব আদায় করা যাবে এবং জনগণের কল্যাণে কোথায় কতটুকু ব্যয় করা যাবে, তার বিস্তারিত বিবরণ জনসম্মুখে পেশ করা হয়। অর্থাৎ বাজেট হলো  দেশের জনগণ কীভাবে চলবে, কীভাবে মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে, কীভাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে, কীভাবে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করবেন, জাতীয় অর্থনীতিতে জনগণ কীভাবে সম্পৃক্ত হবে তারই একটি স্বচ্ছ রূপরেখা প্রণয়ন। গণতান্ত্রিক দেশে যে দল ক্ষমতায় থাকে বা থাকেন তারাই সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন, বিরোধী দলগুলো সে প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য বাজেট অনুমোদনে সম্মতি প্রদান করে। এক বছরের জন্য দেশের অর্থনীতি সেভাবে চলতে থাকে। তবে বাজেট প্রণয়নে মুন্সিয়ানা সবার সমান নয়। অর্থমন্ত্রীর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার ওপর বাজেটের সফলতা ও বিফলতা নির্ভর করে থাকে। এক্ষেত্রে এবারের বাজেট কেমন হবে আগামী ৯ জুন তা জানা যাবে। 

নোবেল বিজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। তার গবেষণার বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করে, আমরা গরিবের উন্নয়নে বাজেট কী হতে পারে তা ভেবে দেখতে পারি কি?  উল্লেখ্য, বিশে^র দরিদ্র মানুষের অর্থনীতির উন্নয়নে গবেষণা করে ২০১৯ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত হন তিনি। তবে তিনি একা এ পুরস্কার পাননি, তিনিসহ আরও দু’জন এ পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারা হলেনÑ এস্থান দুফলো ফরাসি ও মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্রেমার। তিনজন জোটবদ্ধ হয়ে দারিদ্র্যবিমোচনের বিরুদ্ধে কাজ করে এ বিরল সম্মানের অধিকারী হন।

তবে কে সেই অভিজিৎ? প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের আইকন হিসেবে তার বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় সুবিদিত। তারই ছেলে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেন। পরে হার্ভার্ডে গিয়েও তিন স্নাতকোত্তর হন। বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক।

নোবেল জয়ী, যে গবেষণার জন্য খ্যাতি লাভ করলেন, তা শুধু একটি পদ্ধতি প্রবর্তন করা। যার ফলে যেসব নীতিগত হস্তক্ষেপের দ্বারা সরকার চাইছে দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে, তা কতটা কার্যকর এবং সেটি প্রমাণ করা সম্ভব হবে কি হবে না। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব গরিবিয়ানা বন্ধ করতে সরকার থেকে শুরু করে যেসব প্রতিষ্ঠান এবং ধনকুবের দাতা, সকলেই চাইছে এমন সব নতুন নীতি, যা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। অভিজিতের গবেষণায় তত্ত্বের থেকে তথ্য খোঁজা অর্থাৎ বাস্তব অভিজ্ঞতার  বিষয়গুলোই উঠে এসেছে। এর ভিত্তিতেই সমাজ থেকে দারিদ্র্যবিমোচনের পথ উন্মোচন করতে চান তিনি। 


এম.আই.টি এর এই অধ্যাপক পুওর ইকনমিকসে  যে সব সাধারণ মানুষের কথা বলেছেন তার মাঝ থেকে একটি বাস্তব ঘটনা তুলে ধরা হলো। এটি ছিল, সাধারণ মানুষের আশা ও নিরাশার একটি বাস্তব চিত্র। গল্পটি ইন্দোনেশিয়ার একটি অতি সাধারণ মেয়ের। নাম তার ইবু টিনা। সে দর্জির কাজ করত। তার বিয়ে হল কাপড়ের ব্যবসায়ীর সাথে। তাদের তখন চারজন কর্মচারী। ব্যবসা চলছিল ভাল। গোল বাঁধল যখন এক পরিচিত ব্যবসায়ীর ৩,৭৫০ ডলার মূল্যের চেক বাউন্স করল। পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলে, পুলিশের বড়কর্তা চেকের এক দশমাংশ ঘুষ দাবি করে তদন্ত শুরু করতে। এক সপ্তাহের পর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরাধী কিছু অর্থ ফেরত দিয়ে জামিনে খালাস পায়, শুধু মুচলেকা দেয় বাকী টাকা পরে ফেরত দিবে বলে। যেটুকু টাকা ফেরত দেয় তার অর্ধেক পুলিশকে দিতে হল। প্রতারক ঐ ব্যবসায়ীর আর কখনো দেখা মিলল না। ইবু টিনার খুব চেষ্টা করেছে ঘুরে দাঁড়াতে। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করেছে ২,৮০০ ডলার মূল্যের ঋণ। ঝুঁকি কমানোর জন্য সেই মূলধন দিয়ে জামা কাপড় না তৈরি করে কোনও এক সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কিনেছে রেডিমেড হাফ প্যান্ট। কিন্তু খুচরো দোকানিরা তা নিতে রাজি হল না। ইতিমধ্যে ইবু টিনার স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। চার-চারটি সন্তান নিয়ে সে মায়ের ঘরে ফিরে আসে এবং সাথে অবিক্রিত হাফ প্যান্টের পাহাড়। জীবনের সেই কঠিন সময়ে ইবুর সাথে লেখকদের সাক্ষাৎ। সে তাদের জানায় মায়ের ঘরের এক কোনে সে খুলবে মুদির দোকান, আর সেই সাথে এই হাফপ্যান্ট গুলিও বিক্রি করবে। গল্পটি মর্মস্পর্শী। অভিজিৎ যে সত্যটি চোখের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তা হলো, ছা-পোষারাই ঝুঁকির ব্যবসায় নামে। কারণ, তাদের আর কোনও উপায় নেই। যারা লক্ষ্মীর কৃপা থেকে যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, তাঁদের জীবন কথা, ভাবনা আর তাঁদের কুঁড়ে ঘরে ঠিকরে পড়া আলোর খোঁজ দিতে চান নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ। তাঁর লক্ষ্য এইসব জীবনের অন্ধকার যাতে আরও একটু কমে, আর দূর করতে পারলে তো কথাই নেই। অভিজিত বলেন, স্বপ্নে পথহাঁটা অসুখ। কিন্তু ক্ষুদ্রত্বের সুরে মজে ”আমাদের দিয়ে হবে না” এই বিকারে ডুবে থাকা আরও বড় ব্যাধি। দরিদ্রের অর্থনৈতিক জীবনে প্রতিদিনের পথচলা নানাদিক ঠিকভাবে বুঝতে পারলে, অসাম্য তাড়িত অব্যবস্থায় তা কী ভাবে এলোমেলো হয়ে আছে, তা পরখ করতে পারলে সেসব ঠিক করার পথ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এই প্রেরণা থেকেই অভিজিৎ শুরু করলেন অর্থনৈতিক গবেষণার নতুন এক পদ্ধতির অনুশীলন। এর মূল লক্ষ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষেত্রে সহায়ক, বস্তুনিষ্ঠ, প্রায়োগিক প্রামাণ্য তথ্য খুঁজে বের করা। পূর্ব নির্ধারিত ভাবনা আর এতদিন ধরে চলে আসা সিদ্ধান্ত গুলো ঠিক না বেঠিক, তা মুক্ত মনের ছাত্রের মতো অনুশীলন করে বুঝতে হবে। এটা না করে দরিদ্র মানুষের মালিক হয়ে তার ওপর নিজেদের ভাবনা চাপিয়ে দিলে, সমাজ কল্যাণের যে ফল আমরা পেতে চাইছি, তা পাওয়া যাবে না। 

অভিজিতের দৃষ্টিতে দারিদ্র একটি অসুখ। সামাজিক অসাম্যের অব্যবস্থার আর দুর্নীতির নানা প্রসরণ দরিদ্রের জীবনে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কুপ্রভাব ফেলে। মূল সুর একটাই কিন্তু তার নকসী কাঁথায় অনেক গুলি ভাজ থাকে। এই ছোট ছোট ভাজ গুলিকে যদি একটু রিফু করে নেওয়া যায়, তা হলে অনেক গুলি ছোট ছোট ফাঁকফোকর বন্ধ হয়ে দরিদ্রের জীবন একটু বেশি স্বস্তি  পেতে পারে।

অভিজিতের কাজকর্মের মূলমন্ত্র হচ্ছে, গরিবের জীবনকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। স্বল্প আর্থিক সংগতির মধ্যেও গরিবরা কীভাবে নিজেদের ভাল রাখে, তা আমাদের শিক্ষনীয় হতে পারে। আমরা গরিবের জীবন সম্পর্কে প্রায়শই পূর্ব নির্ধারিত এবং ওপর থেকে   দেখা - ভাবনা থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বশবর্তী হয়ে আমাদের করুণা বর্ষনে তাদের জীবনকে সিক্ত করার চেষ্টা করি। ভাবখানা এমন যে, আমি যেমন ভাবে তাদের ভাল রাখতে চাইব, তারাও সেরকম ভাবেই থাকবে। অভিজিতের ভাবনার সঙ্গে এখানেই মূলগত তফাত। তিনি মনে করেন, গরিব মানুষ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সৃষ্টিশীল। গরিব মানুষকে অলস অবসাদগ্রস্ত ভেবে তাদের করুণার পাত্র হিসেবে দেখতে চাওয়া মূর্খামি মাত্র। 

অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে,বহু মানুষকে নিয়ে কাজ করতে গেলে যা অনিবার্যভাব লাগে তা হল, নানা মানুষের ভাবনার বৈচিত্রকে স্বাভাবিক বলে ভেবে নিয়ে,তা অধীর আগ্রহে তুলে নেওয়া, কাঁটার মধ্যে বেড়ে ওঠা ফুলের মতো। সহনশীলতা, ধৈর্যের সঙ্গে বহু মানুষকে শোনা, সবাইকে নিয়ে চলা। নিজেকে যথা সম্ভব ’ আমি শুধু মালা গাঁথি ছোট ছোট ফুলে, এই ভাবনার উদ্বুদ্ধ রাখা। আনন্দ পাও যখন, সে মালা দেখে অন্যেরা প্রশংসা করে। তখনও নিজের আবেগকে সংযত রাখা প্রযোজন। দারিদ্র-কিষ্ট মানুষের জীবনকে আরও একটু ভাল রাখার পদ্ধতিগুলি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বোঝার জন্য অভিজিৎ যে আখড়া তৈরি করেছেন,তার মূল পরিচালনা শক্তি এই সমস্ত ভাবনা। বাউলের আখড়ার মতো যখন বহু মানুষ, বহু জায়গায় নিজের সুরে গান গাইছে। মূল ভাবধার শুধু এক  - পরখ করো, পূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিচালিত পথে নয়, বরং মুক্ত মনে। খঁটিয়ে দেখো। যা এতদিন জেনে এসেছো, শুনে এসেছো, তাকে অবিনশ^র সত্য বলে ভাবতে শুরু করলেই গবেষণার কিন্তু সেখানেই ইতি। তাই নির্মোহ দৃষ্টিতে সবকিছুর বিচার করতে হবে। 

অভিজিত তাঁর পুওর ইকনমিক্স থেকে গুড ইকনমিক্স - সবত্রই একটা কথা বলে যাচ্ছেন - মানুষের নিজস্ব ভাবনা তোমার চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে। গরিব ভীষণই সৃষ্টিশীল, তাঁর কথা শুনতে হবে মুক্তমনে। গবেষণা যেখানে বড়সড় তত্ত্বের প্রয়োজন আর প্রতিষ্ঠিত ভাবনার আশেপাশে ঘোরাফেরা করা - এর ঠিক উল্টো দিকে পথ হাঁটেন অভিজিত। জীবনকে খোলামেলা ভাবে দেখা, ভাবনার ছোট ছোট উপাদান তোলা আর তা পরখ করে দেখা, এ কাজেই তাঁর আনন্দ। অর্থনীতির মতো চিন্তা-নির্ভর বিষয়কে নিছক খেলা ধুলোর মতো করে ফেলেছেন অভিজিৎ। এখানেই তাঁর ও তাঁর দলের কৃতিত্ব।

জীবনকে ভাল রাখার নানা পদ্ধতি নিয়ে অভিজিতের পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়তো অনেকে তা গবেষণাই ভাবেন না। তিনি মনে করেন, সমুদ্রের ঢেউয়ের মাঝে ভেসে চলা শামুক যেমন তার সত্তাকে লুকিয়ে রাখে খোলসের আড়ালে দরিদ্রের দিন গুজরানও সে রকমই শৈলী। ঘটনা হলো দারিদ্র দূরীকরণের সামাজিক ও সরকারি প্রকল্প কী হবে, তা ঠিক করার ক্ষেত্রেও প্রায় নিতান্তই অনুমান নির্ভর, আগে থেকে করা সিদ্ধান্তের আশ্রয় নেওয়া হয়। আর তার ফল হয় উল্টো। সারা পৃথিবীতে দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প গুলিতে অন্যতম বড় সমস্যা তথ্য নির্ভরতার প্রতি অনীহা। যাঁরা নীতি নির্ধারণের দায়িত্বে থাকেন, তারা নব্য রাজন্যের মতো তাঁদের মহান ইচ্ছা-সম্পৃক্ত নানা প্রকল্পের অবতারণা করেন। প্রামাণ্য তথ্য তাদের মুখে রোচে না। বাস্তবতা বোঝার শক্তি এদের আদৌ থাকে না। ফলে নীতি নির্ধারকরা সাধারণভাবে নিতান্তই অসহিষ্ণু এবং চটজলদি ফল পিপাসু হয়ে থাকেন। অভিজিতের গবেষণা এঁদেরকেই আরও বাস্তবমুখী করে তোলা। নীতি নির্ধারক এবং রাজনীতিবিদদের তথ্য ও প্রমাণ নির্ভরতা বাড়িয়ে তুলতে পারলে গরিবের মঙ্গল। 

অভিজিতের গবেষণা শুধু যে গরিবের জীবনের দুরবস্তার নানা আঙ্গিক তুলে ধরা তাই নয়, তাকে কোন পদ্ধতিতে ভাল রাখা যায় তার পথও দেখায় প্রমাণ দিয়ে। ছোট ছোট নানা উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাবুই পাখির বাসা তৈরির মতো গরিব তার জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে। 

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিতের গবেষণার বিষয় থেকে যা উঠে এসেছে তার খানিকটা প্রয়োগ যদি আমরা নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে করতে পারি, তবে গরিবের অর্থনীতিতে গতি আসতে বাধ্য, এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ  নেই। দেশ থেকে সব ধরনের দুর্নীতি, অবিচার এবং স্বজনপ্রীতি দূর করে জনগণের উন্নয়নে প্রকৃত প্রস্তাব পেশ হবেÑ এটাই সর্ব সাধারণের প্রত্যাশা। জয় বাংলা। 

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.