বিশ্বব্যাপী পর্যটন খাতে একটা মন্দা তৈরি হয়েছে ও কিছু সমস্যা আছে বলে জানিয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।
বুধবার (২৯ মে) রাতে বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, একজন ট্যুরিস্টকে দেখাশোনার জন্য ১০ থেকে ১১ জন মানুষের দরকার হয়। আসলে পর্যটন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
তিনি বলেন, আমরা চাই পযটনের উন্নয়ন হোক। আজ থেকে ১০ বছর আগে কুয়াকাটা ও কক্সবাজার যাওয়া কঠিন ছিল। সরকার কানেক্টিভিগুলোকে উন্নত করার কারণে সেই যোগাযোগ সহজ হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ট্যুরিজমকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের জন্য তাদের কাজের মূল্যায়নের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে থেকে টোয়াব যে অ্যাওয়ার্ড চালু করলো তা এ সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্টদের কর্ম প্রেরণা জোগাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর ধারাবাহিকতা থাকলে ভবিষ্যতে এ সেক্টরে আরও ভালো কিছু আমরা দেখাবো। এ ধরনের সম্মাননা কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি, সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শীলা পিল্লাই, এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশীসহ অনেকে।