প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীতে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ২টি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে রাঙ্গামাটির সাজেকে অর্ধশতাধিক পর্যটক আটকা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে টানা বর্ষণে দীঘিনালা-সাজেক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেলে পর্যটকরা আটকা পড়েন।
স্থানীয়রা জানায়, দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালি এলাকা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে সাজেক থেকে কোনো গাড়ি খাগড়াছড়ি শহরে আসতে না পারায় পর্যটকরা আটকে যায়।
সাজেক সড়কে চলা জিপের লাইনম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সকাল থেকে কোনো গাড়ি যেতে পারেনি। অন্যদিকে গতকাল যেসব গাড়ি গেছে সেগুলো ফেরত আসতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩-৪ টি গাড়ি সাজেকে আটকা পড়েছে। আনুমানিক ৫০-৬০ জন পর্যটক রয়েছে সেখানে।
সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা কনক বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে বাঘাইহাটে রাস্তায় পানি উঠাতে সকালে স্কট ছেড়ে যায়নি। এ মুহূর্তে খুব বেশি পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন না। সব রিসোর্ট-কটেজ মিলিয়ে ৫০-৬০ জন পর্যটক আছেন। তারা রুমে অবস্থান করছেন।
পাহাড় ধসে যাওয়ায় লংগদু ও সেতু ডুবে যাওয়ায় সাজেকের সাথে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও ইউনিয়নের প্রধান সড়ক ও মেরুং বাজার প্লাবিত রয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাদ্য ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে শাক-সবজিসহ নানা ফসলের জমি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় দীঘিনালায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যে সকল পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র উঠেছে তাদের শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের তত্বাবধানে দেখাশোনা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘লংগদু উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে স্থানীয় প্রশাসন ও সওজ বিভাগ কাজ করছে। অন্যদিকে পানি কমে গেলে সাজেকের সাথে সারা দেশের যান চলাচল সচল হবে।’
আরও পড়ুন
দীঘিনালায় পাহাড়ি ঢলে ২৫ গ্রাম প্লাবিত