পবিত্র ঈদুল ফিতর আর বাংলা নববর্ষের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। নানা আয়োজনে বরণ করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
রোববার পহেলা বৈশাখে আর ঈদের ছুটিকে ঘিরে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এই পর্যটন নগরী। বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন অন্তত দুই লাখ পর্যটক।
রবিবার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটক নামতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল থেকে কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে অন্তত লাখো দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা।
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসলে নেমেছেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন, কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কিটকটে (চেয়ার-ছাতা) গা এলিয়ে দিগন্ত ছোঁয়া নীলজলরাশিতে মজে আছেন। কেউ কেউ বালুচরে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনদের এসব আনন্দঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখছেন।
শহরের বাইরেও পর্যটকরা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এই সড়কে সৈকত ছাড়াও আছে পাহাড়-ঝরনা, প্রাকৃতিক গুহাসহ নানা দর্শনীয় স্থান। এ ছাড়া সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও সোনাদিয়া, রামু বৌদ্ধ বিহার, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণে পর্যটকদের প্রবল আগ্রহ থাকলেও নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেখানে যেতে পারছেন না দর্শনার্থীরা।
অপরদিকে পহেলা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে জেলা প্রশাসন। সকালে শহরের পাবলিক লাইব্রেরি ময়দান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
যশোর থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাগরে নেমেছেন স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে। কোমর সমান পানিতে ভাসছেন টিউবে। আধা ঘণ্টা পর বালুচরে উঠে বসেন চেয়ার-ছাতা কিটকটে।’
হারুন নামের আরেক পর্যটক বলেন, ‘নোনাজলে শরীর ভেজাতে কক্সবাজারে ছুটে আসা।’
কলাতলির হোটেল বে-ম্যারিনার ম্যানেজার রফিক উল্লাহ জানান, ঈদের পরদিন থেকে হোটেলের প্রায় রুম বুকিং হচ্ছে। তবে পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে গরম আবহাওয়া। টানা হওয়ায় তারপরেও প্রচুর মানুষ কক্সবাজার এসেছে। প্রতিষ্ঠান ও অফিস খুললে চাপ কমে যাবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোন পর্যটক হয়রানী হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘হোটেলে কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন আদায় না হয়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh