অনেকেই আছেন নিজ দেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে ভ্রমণ করতে চান। কিন্তু সাধ বা সাধ্য কিংবা পাসপোর্ট আর ভিসার ঝক্কি-ঝামেলার কারণে অনেকেরই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে না।
যারা ভ্রমণে একেবারেই নতুন, তারাও দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চাইলে জেনে নিতে পারেন বিশেষ কিছু তথ্য। কারণ, দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চাইলে বাংলাদেশি পর্যটকদের অনেক দেশেই ভিসার প্রয়োজন হয় না।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বিভাগ দ্য হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২২-এর প্রকাশিত তথ্য মতে, বাংলাদেশের বর্তমান র্যাঙ্কিং ১০৪ এবং অ্যাকসেস ৪০। অর্থাৎ, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৪০টি দেশে ঘুরে আসতে পারেন অনায়াসেই।
৪০টি দেশের মধ্যে এশিয়ার ৬টি দেশ, আফ্রিকার ১৬টি, ওশেনিয়ার ৭টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১টি, ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১০টি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সর্বনিম্ন ২৮ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত এভাবে আপনি বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন।
তবে আপনার বাজেট যদি কম হয় এবং আপনি যদি ভ্রমণপিপাসু হন, তাহলে ভিসা ছাড়া ঘুরে আসতে পারবেন ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডস, কেপ ভার্দ দ্বীপপুঞ্জ, কমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, কেনিয়া ও বলিভিয়ার বিভিন্ন স্থানে।
শুধু পাসপোর্ট থাকলেই এসব দেশে ঘুরে আসতে কোনো ভিসা লাগবে না আপনার।
একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি ভিসা ছাড়াই ১৪ দিন পর্যন্ত ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন। দেশটিতে দেখতে পারবেন এর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, তুষারে ঢাকা পর্বত, বন এবং স্বচ্ছ নদী। ভুটানের কিছু বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি, পুনাখা জং এবং দোচুলা পাস।
ভুটানের ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত দেশ নেপালও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। হিমালয়ের দেশটিতে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। নেপালের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে জীবন্ত দেবীর মন্দির, ভক্তপুর দরবার স্কোয়ার এবং পশুপতিনাথ মন্দির।
স্বচ্ছ পানি আর সুন্দর সৈকতের জন্য পরিচিত মালদ্বীপ। দেশটি স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। মালদ্বীপের কিছু বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে হুকুরু মিসকি মসজিদ ও জাতীয় জাদুঘর। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি মালদ্বীপে ভিসা ছাড়াই ৩০ দিন পর্যন্ত বেড়াতে পারবেন।
এছাড়া বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপ দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, ভানুয়াতু, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বার্বাডোস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। এই দেশগুলো সুন্দর সৈকত ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জীবনধারার জন্য পরিচিত।