× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গোবিন্দগঞ্জে বিরাট রাজার ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন

মো. ওয়াজেদ আলী

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩০ পিএম

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিরাট রাজার ঢিবিতে প্রথম বারের মতো খনন কাজ শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে এসেছে প্রাচীন অবকাঠামো ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যেগুলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের হতে পারে বলে ধারণা করছে খননকাজে নিয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক দল। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এ খননকাজ পরিচালনা করছে।

গাইবান্ধার ইতিহাস ও ঐতিহ্যগ্রন্থ থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বিরাট রাজার ঢিবি বা গড়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখে গেছেন। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজা বিরাটের এলাকায়। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, এক সময় রাজাহার ইউনিয়নের এই জায়গায় বিশাল প্রাচীরবেষ্টিত বিরাট রাজার বসতি ছিল।

এটি পরিচিত বিরাট নগর নামে। প্রাচীনকালে এটি দুর্গনগরী ছিল। এখানে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলাসহ সারা দেশ থেকে প্রতি বছর বৈশাখে মাসব্যাপী রাজা বিরাটের তীর্থমেলায় হিন্দুধর্মের হাজার হাজার লোকজন আসেন। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বি স্থাপনা। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজাহার ইউনিয়নের বিরাট নগরীর প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। বিরাট নগরের পশ্চিমাংশে প্রাচীনকীর্তির ধ্বংসাবশেষ এখন ঢিবিরূপে আছে।

জনশ্রুতি আছে, এখানে প্রাচীন একটি দুর্গনগরী ছিল। এর নিরাপত্তার জন্য ছিল সুউচ্চ প্রাচীর এবং প্রাচীরের বাইরে প্রশস্তও সুগভীর পরিখা। তবে খননকারী দল এখন পর্যন্ত প্রাচীন দুর্গনগরীর কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মূল অবকাঠামোর সঙ্গে আরো দুই-তিনটি মন্দিরের সংযোগ সড়ক ছিল, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বিরাট রাজার ঢিবি খননকাজ শুরুকরেছে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে। প্রত্নততত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি খননদল এ কাজটি করছে। ২০ জন শ্রমিক খননকাজে নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া খননকাজে দলের আট সদস্য হলেন ড. নাহিদ সুলতানা, ড. আহমেদ আবদুল্লাহ, রাজিয়া সুলতানা, হাবিবুর রহমান, এস এম হাসানাত বিন ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, তারিকুল ইসলাম ও উম্মে সালমা ইসা।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং খননকারী দলের প্রধান ড. নাহিদ সুলতানা বলেন, ‘খননে ধারণার চেয়ে বড় আকারের অবকাঠামো পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এখানে পোড়ামাটির ভগ্নাংশ, পোড়ামাটির ফলক, অলংকৃত ইট (সাধারণত ধর্মীয় উপাসনালয়ের সাজসজ্জায় ব্যবহূত), ভিত্তি প্রস্তর পিলার পাওয়া গেছে, যা প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করে। তবে নিদর্শনগুলো ঠিক কোন সময়ের এবং কারা এখানে বাস করতেন বা কাদের রাজ্য ছিল, বড় আকারে খননকাজ সম্পন্ন না হলে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। পুরো খননকাজ শেষ হলে এগুলো আসলে কোন সময়ের তা জানা যাবে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্বস্থলটি ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ। তবে বড় পরিসরে খননকাজ করে জায়গাটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সেইসঙ্গে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.