দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিস্তীর্ণ পাহাড়জুড়ে সবুজের সমরোহ। সেখানের সুফল প্রকল্পের বনায়ন এখন গাঢ় সবুজে পরিণত হয়েছে। উচুঁ নিচু পাহাড়জুড়ে নজর কাড়ছে সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ঢেউয়ের মতো দোল খেয়ে খেলে যাচ্ছে এসব গাছের সবুজপাতা। আর এমন সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি।
এ যেন সুফল প্রকল্পের বিভিন্ন প্রজাতির লাগানো গাছে দোল খাচ্ছে স্থানীয় শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরুল আলম মিয়া নাহিদ ও দিনেশপুর বিট কর্মকর্তা মনজুরুল মুর্শেদের স্বপ্ন।
মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী এসব বাগানের নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন সরেজমিন পরির্দশনে গিয়ে।
চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের আওতাধীন মহেশখালীর রেঞ্জের শাপলাপুর বিট কর্মকর্মতা ও দিনেশপুর বিট কর্মকর্তা বৃক্ষপ্রেমী দুইজনের চোখেমুখে উৎসাহ, সাফল্য ও উদ্দীপনার ছাপ। তারা দুইজনের শ্রমের কষ্টের ফসল হিসাবে রোপিত গাছের ডালপালা মেলে গাছ আস্তে আস্তে বড় হতে দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠেছে স্থানিয় বৃক্ষপ্রেমিদের ও বিট কর্মকর্তাদের মন। ইতোমধ্যে বাগান পরিচর্যা কয়েক দফা শেষ করেছে এবং কাজ চলমান অবস্থায় দফায় সার-প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এখানে সব কিছু যেন সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। তাই সবুজে মোড়ানো প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয, অবারিত সবুজের সমারোহ এবং মেঘ ছুঁয়ে দেখার মতো জায়গা পাহাড়িকন্যা উপজেলার শাপলাপুর পাহাড়ী এলাকা। যেখানে প্রকৃতি নিজ ঐশ্বর্যকে ঢেলে দিতে কৃপণতা করেনি।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘সুফল’ প্রকল্প। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প এর আওতায় ২০২২ ও ২০২৩ অর্থ বছরে শাপলাপুর বিটে ১৫০ হেক্টর ও দিনেশপুর বিটে ২০০ হেক্টর মিশ্র প্রজাতির দ্রুত বর্ধনশীল বাগান,ধীর বর্ধনশীল বাগান সহ বিভিন্ন প্রজাতির বাগান সৃজন করা হয়েছে। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই বনায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সুফল প্রকল্পের লাগানো বাগানের সাইনবোর্ড ও স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া ও কালারমারছড়া,কেরুনতলী, মুদিরছড়া বিটের অধিনে সুফল প্রকল্পের বাগান ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানিয় সুফলভোগি লোকজন।
শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুর আলম মিয়া নাহিদ বলেন, গাছ না থাকলে পাহাড় থাকবে না, ধ্বংস হবে প্রকৃতি, জৈববৈচিত্র্য। তাই গাছ লাগাতে হবে। পাহাড়, প্রকৃতি বাঁচাতে গাছই সমাধান। অর্থাৎ গাছ থাকলে পাহাড় থাকবে, বাঁচবে প্রকৃতি।
তিনি বলেন, সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ ও রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলীর তদারকিতে এ সফল বাগান করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
দিনেশ পুর বিট কর্মকর্তা মনজুরুল মুরর্শেদ সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, তিনি গাছ কাটা ও পাহাড় কাটা বন্ধ করে ভাল পরিবেশ চাইতেন, যেখানে পাহাড় থাকবে, সবুজ থাকবে চারপাশ। পশুপাখির নিরাপদ আবাস হবে। তাদের কলকাকলিতে ভরে উঠবে প্রকৃতি। এখন তাই হচ্ছে। তিনি বলেন সবুজের রাজত্ব শুধু চাকরি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে গড়ে তোলেননি, বৃক্ষের প্রতি রয়েছে তার টান ও ভালোবাসার এক সবুজ গল্প। আর চাকরি আগে শৈশব থেকেই সবুজের প্রতি দুর্বলতা। তিনি বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা আমরা সফল বাগান করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh