বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
একইসঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ও পর্যটকদের ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যারা স্থানীয় দ্বীপবাসী তাদেরকে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেহেতু কক্সবাজারমুখী, সেহেতু কক্সবাজারসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্যই সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি সেন্টমার্টিন থেকে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ও পর্যটকদের ইতোমধ্যে সরিয়ে এনেছি আমরা।
ঘূর্ণিঝড় মোখার সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হবে জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিক্যাল টিম। দেড়শ মেট্রিক টন চাল, ৬.৯ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট খাওয়ার স্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৯ হাজার নগদ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে কুতুবদিয়া ধলঘাটা মাতারবাড়ী দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এ অঞ্চলের বাসিন্দারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের সরিয়ে আনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। লবণ উৎপাদন হওয়া এলাকার মাঠ থেকে লবণ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে চাষিদের।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে বলা হয়েছে। সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ডের কর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানিয়েছেন, সৈকতে আগত পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবদুর রহমান জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে, মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh