বুদ্ধ পূর্ণিমাসহ সরকারি তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কক্সবাজার। এই তিন দিনের ছুটির সুযোগে কক্সবাজার সৈকতে লাখো পর্যটকের ভিড় জমেছে।
কক্সবাজার শহরের সৈকত ছাড়াও মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, বাইলাখালী লাল কাঁকড়া সৈকত ও টেকনাফ সৈকতের বিস্তৃত বালিয়াড়ি জুড়ে পর্যটকে ভিড় জমিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে পর্যটকের আগমন ঘটে। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেলগুলোর ৫০-৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বৃহস্পতিবার বুদ্ধ পূর্ণিমা ছুটি যোগ হয়ে টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে দেশের নানা প্রান্তের ভ্রমণপিপাসু লোকজন জড়ো হয়েছে কক্সবাজারের বেলাভূমিতে।
শুক্রবার (৫ মে) সকালে সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, পুরো বালিয়াড়ি লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে। সৈকতের উদ্ধারকর্মীরা ‘ভাটার সময় লাল পতাকা উড়িয়ে দেওয়ার পরেও পর্যটকদের বারণ করেও কাউকে রাখতে পারছে না। পর্যটকরা কেবলই বলেন-আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি-সাগরে নামতেই হবে।’
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সের হাজারো পর্যটক তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তালে তালে নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন। সমুদ্রের নোনা পানিতে গা ভাসিয়ে ভ্যাপসা গরমে একটু প্রশান্তির পরশ নিচ্ছেন আগতরা। কেউ কেউ ওয়াটারবাইকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
কেউ কেউ টিউব ভাড়া নিয়ে সাগরের নোনা জলে সাতার কাটছেন। কেউ ঘোড়ায় চড়ে সৈকতে ঘুরছেন এবং ছবি তুলছেন। বয়স্ক পুরুষ-নারী পর্যটকরা সৈকতের ছাতার নিচে বসে ঢেউ উপভোগ করছেন।