× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পর্যটনে অপার সম্ভাবনার হাতছানি আরো ৪ সমুদ্রসৈকত

শাহিন খান, পটুয়াখালী

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:২০ এএম

সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে রয়েছে চোখ জুড়ানো দৃষ্টিনন্দন আরো চারটি সমুদ্র সৈকত। নদীপথ বেষ্টিত এসব সৈকতের নাম- জাহাজমারা, তুফানিয়া, সোনারচর ও চর হেয়ার। পর্যটনের অপার সম্ভাবনায় ঘেরা সৈকত চারটির ভৌগোলিক অবস্থান নদী ও সাগরের মিলনস্থল পটুয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীতে।

এখানে যেমন আছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা, তেমনি রয়েছে কিছু সমস্যা। এর মধ্যে রাঙ্গাবালীর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলটি সুন্দরবনের পরেই আয়তনের দিক থেকে একটি বৃহত্তম বনাঞ্চল এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুবিশাল প্রবাল সমুদ্র সৈকত সোনারচর । সৌন্দর্যের কমতি নেই ‘জাহাজমারা’ দ্বীপেও । এই দ্বীপটির ভৌগোলিক অবস্থান রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নে। জাহাজমারার কাছেই আরও দুটি দ্বীপ রয়েছে। একটির নাম ‘তুফানিয়া’ অন্যটির নাম ‘চরহেয়ার’ যেখানে রয়েছে নিবিড় সবুজের সমারোহ। সৈকতে মিলছে অগণিত লাল কাঁকড়ার ঝাঁক। আছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বন বিভাগের বনাঞ্চল ও জেলে নৌকার বহর।

জাহাজমারা সৈকতে সূর্যোদয় দেখতে আসা পর্যটক রাহুল জানান, ঢাকার মতো যান্ত্রিক শহরে বাস করে ক্লান্ত তিনি। কিছুটা সতেজতা ও প্রকৃতির সাথে আলাপ করতে নানা বাড়ি বেড়াতে এসেছেন তিনি। এখানে খুব কাছ থেকে সূর্য দেখা যায় সে সঙ্গে অতিথি পাখির মিলন মেলা প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখতে পাওয়া যায়।

সোনার চলে ঘুরতে আসা একদল পর্যটকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সোনার চরে অনেকগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা একত্রে উপভোগ করা যায়। এখান থেকে ঘন গাছে ঘেরা আলো ছায়া খেলার পাশাপাশি একটি প্রবাল দ্বীপ উপভোগ করতে পারছেন তারা। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন চেনা অচেনা পাখি হরিণ সহ বিভিন্ন প্রাণীর অভয়ারণ্য হওয়াতে এখানে আলাদা একটি অনুভূতি হয়েছে তাদের।

তবে এত কিছুর পরেও এসব সম্ভাবনাময় জায়গাগুলোতে সরকারি সুদৃষ্টির অভাবে পর্যটক দেখা যাচ্ছে না বছরের বেশিরভাগ সময়। রাঙ্গাবালী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের সৈকত কুয়াকাটার চেয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এসব পর্যটন স্পটগুলো অনেকটা এগিয়ে থাকলেও যাতায়াতে সময় বেশি হওয়ায় পিছিয়ে পরেছে এখানকার পর্যটন সম্ভাবনা। এছাড়াও এসব এলাকার কোনোটিতেই নেই হোটেল-মোটেল। পর্যটনের সম্ভাবনাময় এলাকা হিসাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে এখানে পর্যটনের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে এবং অর্থনৈতিক আমূল পরিবর্তন হবে এমনটা মনে করেন স্থানীয়রা।

রাঙ্গাবালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সোহাগ হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সুবিধার জন্য সোনারচর, জাহাজমারা, তুফানিয়া ও চরহেয়ারে পল্টন স্থাপন করা জরুরি। একইসঙ্গে হোটেল-মোটেল ও রেস্ট হাউজসহ আধুনিক অবকাঠামো তৈরি করলে সকল ধরনের পর্যটকদের এসব দ্বীপে আসার আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। এতে যেমন সরকারের আয় হবে তেমনি চর অঞ্চলের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে

জাহাজমারা ট্যুরিজমের ব্যবস্থপনা পরিচালক আজিজুর রহমান সুজন বলেন,এখন থেকে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা ট্রলার কিংবা স্পিডবোট যোগে জাহাজমারা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যেতে পারবে দূষণ কোলাহল মুক্ত এ এলাকায় আসলে মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। সৌন্দর্য মণ্ডিত পর্যটন স্পটের নিদর্শন-অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে জেগে থাকা ‘সোনারচরে’ সোনা নেই ঠিকই, কিন্তু আছে সোনালি আভা। সূর্যের রশ্মি যখন সৈকতের ওপর পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয়, সত্যিই সোনার আবির্ভাব হয়েছে এখানে মনে হবে প্রলেপ দেওয়া হয়েছে স্বর্ণের সোনারচর উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। সরকারিভাবে যদি কিছু উদ্যোগ নেয়া হতো তবে এসব জায়গায় পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আরো বেশি সক্ষম হতো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সালেক মূহিদ বলেন, রাঙ্গাবালীর পর্যটন স্পটগুলো নিয়ে ট্যুরিস্ট জোন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দর হওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। ইতোমধ্যে চারটি সমুদ্র সৈকতে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে পর্যটন করপোরেশন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি যোগদান করা নতুন জেলা প্রশাসক মহোদয় এসে চারটি সৈকত ভিজিট করে গেছেন পর্যটন স্পটগুলো নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে এবং এব্যাপারে আমরা কাজ করছি।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.