ঈদে নতুন জামার শখ থাকে ছোট-বড় সবারই। তবে বাহারি রঙের জামা পরে ঘুরে বেড়ানোর শখটা যেন শিশুদেরই বেশি। ঈদে নতুন জামা যেন তাদের কাছে স্বপ্নের মতোই! এই না পাওয়ার বেদনা ঘোচাতে ‘শেয়ার ইউর হ্যাপিনেস ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে বেশ কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন জামা উপহার দিয়েছে বাচ্চাদের-ই ক্লদিং শপ ‘হ্যালো জুনিয়র’।
বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের মূল আকর্ষণ ছিল- এতে ক্রেতারা তাদের বাচ্চাদের হাত দিয়েই সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পথশিশুদের মাঝে জামা বিতরণ করে। এতে তাদের মধ্যে সমানুভূতি, ভাতৃত্ববোধ ও দায়িত্বশীলতা চর্চার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে অদূর ভবিষ্যতে তারা আরো গভীরভাবে সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে সক্ষম হবে।
এবারের ঈদ-উল-ফিতর বা রমজানের ঈদ উপলক্ষে মাসজুড়ে হওয়া এই বিশেষ ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র শিশুদের পরিধেয় জামা-ই প্রদান করা হয়নি। বরং তাদের সঙ্গে একদিন বসে ইফতারের আনন্দও ভাগাভাগি করেছে ‘হ্যালো জুনিয়র’ টিম, কোম্পানিটির গ্রাহক ও তাদের বাচ্চারা। রাজধানীর বাটারফ্লাই স্কুল ফর ডিপ্রাইভড চিলড্রেন-এ ‘শেয়ার ইউর হ্যাপিনেস ক্যাম্পেইন’-এর ইফতার আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে।
এখন বেশ বড় পরিসরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ‘হ্যালো জুনিয়র’ এর যাত্রাটা ছিল খুবই সাদামাটা। স্বল্প কিছু পুঁজি নিয়ে কোভিড-১৯ মহামারিতে অনলাইন শপ হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘হ্যালো জুনিয়র’। তখন প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাচ্চাদের মাস্ক বিক্রি করতো। তবে গ্রাহকের ভালো সাড়া পাওয়ায় ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে থাকে কোম্পানিটি। আড়াই বছরের পরিক্রমায় এখন শূন্য থেকে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সহ সব রকমের প্রোডাক্টই বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন ধানমন্ডিতে একটি শো রুম আছে ‘হ্যালো জুনিয়র’ এর আর ফেসবুক ফ্যান পেজে সাথে রয়েছে দেড় লাখের বেশি শুভানুধ্যায়ীরা। নান্দনিক ডিজাইন ও টেকসই মানের বেশ কিছু পণ্য নিজেরা তৈরি করে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ব্র্যান্ডটি।
এ প্রসঙ্গে ‘হ্যালো জুনিয়র’ এর নাফিজ সাদেকিন বলেন, “রমজানের মাহাত্ম্য ও পারস্পরিক হৃদ্যতার কথা বিবেচনা করে আমরা অভিনব ‘শেয়ার ইউর হ্যাপিনেস ক্যাম্পেইন’ শুরু করি। এত আমাদের ব্র্যান্ডের লক্ষ্য ও দর্শনকে আরো গভীরভাবে গ্রাহকরা উপলব্ধি করতে পারেন। আমরা ১ হাজারের বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে জামা উপহার দিয়েছে বাচ্চাদের মাধ্যমেই। এতে তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো গভীর হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম আরো জোরদার করব।”
‘হ্যালো জুনিয়র’ শুধু রমজান ও ঈদেই নয় বরং সারা বছরজুড়েই বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে থাকে। শিশুদের মনোজগতের বিকাশে ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন আর্ট কম্পিটিশন আয়োজনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।