পুলিশের অভিযান ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্মের বুক পকেটে থাকবে বডি ওন ক্যামেরা। এই ক্যামেরা বিশেষ অভিযান এবং রাস্তার চলাচল জটিলতা নিরসনে ব্যবহার করবে পুলিশ। পুলিশের বিভিন্ন কাজে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্চগড় পুলিশ বিভাগ।
আজ রোববার জেলা পুলিশ সুপারের সমেম্মলন কক্ষে বডি অন ক্যামেরা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। সে সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা. ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী কামরুল হাসানসহ ট্রাফিক পুলিশ ও সদর থানার পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়া সেল সদস্য মুশফিকুর রহমান বডি ওন ক্যামেরা বিষয়ে বিস্তারিত ব্যবহার সম্পর্কে উপস্থিত সদস্যদের প্রশিক্ষন দেয়।
পুলিশ জানায়, বুক পকেটের ক্যামেরা বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্মে লাগানো থাকবে। অনেক সময় পুলিশের অভিযানে ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নামে মিথ্যা নেতিবাচক অপবাদ দেওয়া হয়। অপরাধীদের আটক ও জরিমানার নিয়ে বিভ্রান্তিমুলক তথ্য ছড়ানো হয়। এ কারণে অভিযানের সময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পুলিশ অত্যাধুনিক বডি ওন ক্যামেরা ইউনিফর্মের বুক পকেটে সংযুক্ত করে রাখবেন। জেলার পাঁচ থানায় ১০ টি, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ৬ টি এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দুটি ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে আরো ক্যামেরা সংযুক্ত করা হবে ।
প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ট্রাফিক সার্জেন্ট ফরিদ হোসেনের শরীরে অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি সংযুক্ত করার মাধ্যমে কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, বডি অন ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে বিতর্ক কমে যাবে। তাছাড়া অনেক সময় পুলিশের আচরন নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পুলিশের ইউনিফর্মে বডি ক্যামেরা অন থাকলে অভিযানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত হবে।