আরো একবার “গ্লোবাল টপ ফাইভ” ব্র্যান্ডের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স। এই নিয়ে টানা পাঁচ বছর গ্লোবাল ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ইন্টারব্র্যান্ডের এই স্বীকৃতি অর্জন করল ইলেকট্রনিক্সের পণ্যের বাজারে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডটি। রীতিমতো ১০ শতাংশ বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি হারে বর্তমানে স্যামসাংয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু ১০০.৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের নানা ইলেকট্রনিক্স পণ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা যুক্ত করে বিশ্ববাজারে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। “এআই ফর অল” – অর্থাৎ সকলের স্বাচ্ছন্দ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মূলনীতি অবলম্বন করে ব্র্যান্ডটি গ্রাহকদের অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস২৪ ও গ্যালাক্সি ফোল্ডেবলস’এ অনন্য সব এআই ফিচার যোগ করে মোবাইল এআই’এর প্রতিযোগিতায় সেরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে স্যামসাং। সেই সাথে, অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির উদ্ভাবনী প্রয়োগের সুফল এর মাঝেই পেতে শুরু করেছেন স্যামসাং গ্রাহকরা। সার্কেল টু সার্চ, ইন্টারপ্রেটর, চ্যাট অ্যাসিস্ট, ট্রান্সক্রিপ্ট অ্যাসিস্ট, স্কেচ টু ইমেজ, পিডিএফ ওভারলে ট্রান্সলেশন, জেনারেটিভ এডিট, ফটো অ্যাসিস্ট, প্রোভিজ্যুয়াল ইঞ্জিন, এবং ইন্সট্যান্ট স্লো-মো’র মত ফিচারগুলো এখন গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য অনেকখানি বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়া টেলিভিশন, নেটওয়ার্কস, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, ও সেমিকন্ডাক্টারে এআই প্রযুক্তি সমন্বয়ের মাধ্যমে নিজেদের স্মার্টথিংস সিস্টেমকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে স্যামসাং, যা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে এক নতুন মাত্রা দান করেছে।
অ্যাক্টিভ ভয়েস অ্যামপ্লিফায়ার এবং এআই আপস্কেলিংয়ের মত দূর্দান্ত প্রযুক্তির সংযোজনে স্যামসাং মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লে, মিউজিক ফ্রেম, ও এআই টিভি’র মত বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে এসেছে, যা দর্শকদের টিভি দেখার ধারণাই বদলে দিয়েছে। এছাড়াও ওয়াশিং মেশিং ও রেফ্রিজারেটরের মত অ্যাপ্লায়েন্সে ডিজিটাল প্রযুক্তির সংযোজন স্যামসাংকে বিশ্ব বাজারে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। গ্রাহকদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনায় রেখে বিস্পোক এআই অ্যাপ্লায়েন্স, অটো ওপেন ডোর, এআই এনার্জি মোড ও আপগ্রেডেড বিক্সবি ভয়েস কন্ট্রোল নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ভার্চুয়ালাইজড রেডিও এক্সেস নেটওয়ার্ক (ভিআরএএন), ওপেন আরএএন, এবং সিক্সজি’র টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম এইচবিএমথ্রিই ডিআরএএম, জিডিডিআরসেভেন ডিআরএএম, নাইন্থ জেন ভি-এনএএনডি, এবং এলপিডিডিআরফাইভএক্স ডিআরএএম’ও বাজারে নিয়ে এসেছে।
গ্লোবাল টপ ফাইভ ব্র্যান্ডের অনন্য স্বীকৃতি অর্জন প্রসঙ্গে স্যামসাং বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোয়ানসাং উ বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ সুবিধা লাভে আমাদের সামষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং ব্যবহারকারীদের হাতে এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তুলে দিতে আমাদের একাগ্র প্রচেষ্টাই চলতি বছরে আমাদের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির মূল কারণ। এআই খাতে আমাদের আরও শক্তিশালী ও দক্ষ হয়ে ওঠার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আমরা গ্রাহকদের জীবনযাত্রাকে আরো ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করতে পারি। এআই’এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। গ্রাহকদের সাথে আরো উন্নত সম্পর্ক গড়ে তুলতে নিজ ব্র্যান্ড ভ্যালু অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করে যাবে স্যামসাং”।
ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা, গ্রাহকদের জীবনে এর প্রভাব, ও ব্র্যান্ড হিসেবে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ অবস্থানের বিবেচনায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের জন্য ব্র্যান্ড ভ্যালু নির্ধারণ করে ইন্টারব্র্যান্ড, যার ভিত্তিতে গ্লোবাল বেস্ট ব্র্যান্ডের তালিকা প্রস্তুত করা হয়।