গাড়ি নির্মাতা জার্মান কোম্পানি ‘মার্সেডিজ’ আসন্ন বছরগুলোয় নিজেদের চীন, জার্মানি ও হাঙ্গেরির কারখানাগুলোর আধুনিকায়নের পেছনে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এই বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি তৈরির পাশাপাশি কার্বণ নিঃসরণ কমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই বিষয়টি উঠে এসেছে সে দেশের গাড়িবিষয়ক সাময়িকী ‘অটোমোবিলওচে’।
২০২০ সালের তুলনায় এ দশকের শেষ নাগাদ নিজেদের জীবনচক্রে যাত্রীবাহী গাড়িপ্রতি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের মাত্রা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যস্থির করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানী চালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধের উদ্দেশ্যে একটি চুক্তির কথাও বলছে তারা।
মার্সেডিজ বলেছে, এই দশকের শেষ নাগাদ তারা বৈদ্যুতিক খাতে পাড়ি জমানোর জন্য প্রস্তুত। আর সে সময় বাজার পরিস্থিতিও অনুকূলে থাকবে।
“এইবারের পালায় আমরা কারখানা প্রতি দশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছি।” --কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার জর্জ বারজারের উদ্ধৃতি তুলে ধরার কথা বলছে ওই জার্মান সাময়িকী।
চীন, জার্মানি ও হাঙ্গেরিতে কোম্পানির কারখানাগুলোয় এই বিনিয়োগ কার্যক্রম চলবে।
আসন্ন মাসগুলোয় এই গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি নিজেদের রাশতাত শহরের কারখানায় কার্যক্রম শুরু করবে। আর ২০২৪ সাল থেকে কমপ্যাক্ট গাড়ির প্ল্যাটফর্ম ‘এমএমএ’র প্রথম মডেল তৈরির বিষয়টিও উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
বারজার বলেন, ওই কারখানায় বিভিন্ন গাড়ির মডেল সংখ্যা সাত থেকে চারে নামিয়ে আনা হবে।
পাশাপাশি, জার্মানির জিকমাগেংগেন, গেইমেন ও রাশতাত শহরের কারখানার পেইন্টিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পেছনেও শত কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ করবে মার্সেডিজ।
ওই প্রতিবেদন বলছে, এই আধুনিকায়নের লক্ষ্য হলো শক্তি ও পানির খরচ কমানো। আর পেইন্টিং ব্যবস্থায় কার্বনবিহীন শক্তির বিপরীতে গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানো।
যুক্তরাষ্ট্রের টাসকালুসা শহরের কারখানাও বিস্তৃত করার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে মার্সেডিজ। এর ফলে, কোম্পানিটি গত বছরের ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত আইনের অধীনে সরকারী অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে লভ্যাংশ পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে অটোমোবিলওচে।
বারজার আরও বলেন, নিজেদের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থায় সম্ভাব্য অন্যান্য পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বেলাতেও প্রস্তুত আছে মার্সেডিজ।