× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যন্ত্রাংশ আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অনিশ্চতার মুখে আইসিসটি খাত

২৭ নভেম্বর ২০২২, ০১:৩৬ এএম । আপডেটঃ ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৫৭ এএম

একবিংশ শতাব্দির শুরু থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষে সারা পৃথিবীতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। একের পর পর এক নতুন উদ্ভাবনী মাত্রা যুক্ত হচ্ছে বিশে^র উন্নত দেশগুলোর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে, যার সুফল প্রতিদিন ভোগ করছেন উন্নত দেশের নাগরিকেরা। তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ চিত্র বেশ খানিকটা ভিন্ন। তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কারের সফুল-সুযোগ থেকে এখনো বহু দূরে রয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ। বিশ্বজুড়ে করোনা হানায় এ খাতেও তৈরি হয়েছে কিছু অস্থিরতা। তার ওপর চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে হু হু করে। ব্যাংকে এলসি খুলতে না পারাসহ পণ্য রপ্তানিতে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন প্রতিবন্ধকতা ও অনিশ্চয়তা। ফলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশসহ যাবতীয় পণ্যসামগ্রীর দামও বেড়ে চলছে দ্রুতগতিতে। এতে কম্পিউটার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেনা-বেচাও কমে যাচ্ছে দিনদিন আর তরুণ স্টার্ট আপ/ উদ্যেক্তারা প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হচ্ছেন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের।

১৯৮৭ সাল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় সংগঠনটির অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে শক্তিশালী করায় ব্রত রয়েছে সংগঠনটি। তাই এ খাতের সাম্প্রতিক সময়ের নানা দিক ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বিসিএস’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদ সারাবেলা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মো. রাসেল হোসাইন। 

প্রায় ৩৫ বছর পুরোনো সংগঠন বিসিএসের অর্জন সহজ করে বলবেন? 

সুব্রত সরকার: বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে সবচেয়ে পুরাতন সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। সবচাইতে বড় যে অর্জন, তা হলো আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি বা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি সেতার মূল উদ্যেক্তা হলো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। ১৯৯৮ সালে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা ডিভাইসের ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্যাক্স তখন ভ্যাট মওকুফ করে দেন। মওকুফ করার কারণেই আমরা স্বল্পমূল্যে সারাদেশে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে দিতে পেরেছি। এর বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি বাংলা একাডেমির একটি মেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটি উচ্চারণ করে এবং সেটাকে কেন্দ্র করেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি দিয়েছে। আমরা আশা করব আগামীতেও কাজ করে যাব।

২০৩০-এর মধ্যে আপনাদের সদস্য সংখ্যা কি পরিমাণ বাড়তে পারে?

সুব্রত সরকার: আমাদের প্রত্যাশা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০০ হাজার সদস্য করব। এবং আমাদের এখন ১০টি ব্রাঞ্চ আছে আরো কমপক্ষে ৪টি ব্রাঞ্চ করার চেষ্টা করব।

২০১৮ সালের প্রস্তাবিত এমআরপি ও ওয়ারেন্টি নীতিমালা এ বছর হালনাগাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী?

সুব্রত সরকার: ২০১৮ সালে আমি যখন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ছিলাম তখন এমআরপি ও ওয়ারেন্টি নীতিমালা নিয়ে কাজ করেছিলাম কিন্তু এগিয়ে নিতে পারিনি। ওয়ারেন্টি নীতিমালার কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনার দরকার ছিল, তাই এবার এমআরপি ও ওয়ারেন্টি নীতিমালার পরিবর্তন করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি। ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে মিটিং করেছি ওয়ারেন্টি নীতিমালা তাদের কাছে দিয়েছি। আর এমআরপি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি প্রোডাক্টের গায়ের ওপর দাম নির্ধারণ করার কাজটি শুরু করে ছিলাম, পরবর্তীতে যারা আসছেন তারা এটি নিয়ে আর কাজ করেননি বিধায় আমরা আর কাজটি করতে পারিনি। এবার আশার পর থেকে সকলের দাবি ছিল এমআরপি বাস্তবায়ন করা সেইসঙ্গে অনলাইনেও যাতে একই দাম থাকে সেই জন্য আগামী ইসি মিটিংয়ের পরেই জানানো হবে।

আইসিটি খাতে তরুণ উদ্যেক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা বা সুবিধা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

সুব্রত সরকার: আসলে সরকার তরুণ উদ্যেক্তাদের প্রণোদনা দিচ্ছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিও তাদের সহযোগীতা করছে।

বর্তমানে চলমান অর্থনৈতিক সংকটে আইসিটি খাতে কি ধরনের ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জ দেখছেন?

সুব্রত সরকার: করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশে আইসিটি খাতের বড় অবদান ছিল। তবে বর্তমানে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হলো ডলার। কারণ আমাদের বেশির ভাগ প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করতে হয় আর ডলারের দাম বেশি হওয়াতে প্রোডাক্টের দাম বেড়েছে। ব্যাংকগুলো এলসি নিচ্ছে না, সেখানে আমাদের দাবি থাকবে অন্যান্য যে খাতগুলো আছে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার দিতে প্রস্তুত সেখানে আইসিটি খাতকেও জরুরি খাত হিসবে বলা হয়েছে তাই আমাদেরও সেই সহযোগিতা করতে হবে।

বাজারে দিনদিন কম্পিউটারের যাবতীয় পণ্যের মূল্য বেড়েই চলছে, বিষয়টা কিভাবে দেখছেন? সামনের দিনগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির এই ধারা কি অব্যাহত থাকবে?

সুব্রত সরকার: আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়েনি, আমাদের সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকগুলো এলসি নিচ্ছে না এবং ইমপোর্ট করা কঠিন হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে ডলারের দাম বেশি হওয়াতে কম্পিউটারের যাবতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.