ড্রোন টেকনোলজি এবং জিও স্পেশালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সাথে আইসিটি টাওয়ারস্থ তাঁর দপ্তরে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, উপ সচিব মোঃ মনির হোসেন,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসের প্রথম সচিব জিংইউন লি, দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতনামা টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান হোজাং সলিউশনস কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী সিউক লি, আইসিটি বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থাসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
বৈঠকে কোরিয়ান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়াটার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাকোয়াকালচার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা জানায়। এ লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, ভূমি, বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরির কথাও তারা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। তিনি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আইসিটির সাথে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অভিমত ব্যক্ত করেন।
আইসিটি বিভাগের পক্ষ হতে আইসিটি বিভাগ; সড়ক; পরিবহন ও সেতু; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, এলজিআরডি; কৃষি ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উক্ত প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জিও স্পেশালাইজড ল্যাব স্থাপনের জন্য এদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কোইকার মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
ড্রোন টেকনোলজি এবং জিও স্পেশালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সমন¦য় সভা করার বিষয়ে উভয়দেশ একমত পোষণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের সাথে প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করবে।