সিলেট আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে
বেঁধে ফেলে দিনের
শেষে ১৩ ওভার খেলার সুযোগ পায়
শান্তবাহিনী। এরমধ্যেই সাদমান
ইসলামের উইকেট হারিয়ে ৫৭
রান তোলে টাইগাররা। এখনো তারা পিছিয়ে রয়েছে ২৫ রানে।
২২
রানের লিড নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল
জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে তখন ৬ উইকেট হারিয়ে
২১৩। নেই কোনো স্বীকৃত ব্যাটার। দিনের শেষ সেশনে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে যত কম রানে
প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলা যায় এটাই ছিল টাইগারদের লক্ষ্য। তবে চা-বিরতির পর
চা খেয়ে যেন আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। ২২ রানের লিড
বাড়িয়ে ৮২ রানে নিয়ে
যান তারা। অবশ্য এতে টাইগার ফিল্ডারদের
ক্যাচ মিস এবং গা-ছাড়া ফিল্ডিংয়েরও
কৃতিত্ব রয়েছে। এদিকে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ফাইফার তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত রোডেশিয়ানদের ২৭৩ রানে থামান মেহেদি হাসান মিরাজ।

এর
আগে শন উইলিয়ামসের গুরুত্বপূর্ণ
উইকেটটি নিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন মিরাজ।

এরপর কিপার মায়াভোকে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে এলবিডব্লিউর
ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এরপর একে একে শেষ তিন উইকেটই নিজের ঝুলিতে পুরে একাদশতম ফাইফার তুলে নেন এই অলরাউন্ডার।

মুজারাবানি
১৬ বলে করেন ১৭ রান। আর
রিচার্ড এনগারভা ২৮ রান করে
অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশি
বোলারদের মধ্যে ৫২ রানে ৫
উইকেট শিকার করেন মিরাজ। এদিকে ৭৪ রানে ৩
উইকেট নেন স্পিডস্টার নাহিদ রানা। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ আর খালেদ আহমেদ।
৮২ রানে পিছিয়ে
থেকে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। ব্যক্তিগত ৪ রানে স্লিপে
ক্যাচ তুলে বিদায় হন স্লিপে ক্যাচ মিস করা সাদমান ইসলাম।

এরপর
ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল
হক। ব্যাক্তিগত ৬ রানে জীবন পাওয়া
জয়
৪২ বল খেলে ৬টি
চারে ২৮ রানে অপরাজিত
রয়েছেন। মুমিনুল হকও ছিলেন ধীর-স্থির, তিনি ২৬ বল খেলে
৩টি চারে ১৫ রান করে
অপরাজিত আছেন।

এদিন
জিম্বাবুয়ের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন ব্লেসিং মুজারাবানি।