ছবিঃ সংগৃহীত।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (২১ এপ্রিল) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা এককভাবে নিজের করে নিল নাহিদ রানা। প্রথম দিনটা হতাশার পর সাতসকালেই নাহিদের জোড়া আঘাত। সঙ্গে যোগ দেন হাসান মাহমুদ। লাঞ্চের ঠিক দুই ওভার আগে জিম্বাবুইয়ান কাপ্তান ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে শন উইলিয়ামস-ক্রেইগ আরভিনের ৫১ রানের জুটি ভাঙেন স্পিডস্টার নাহিদ রানা। চমৎকার আউটস্যুইঙ্গারে বলটা ব্যাটের বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিল। তবে সিলেটের বাতাসে এয়ারস্যুইং আরভিনকে চমকে দিয়ে ব্যাটে আলতো চুমু খেয়ে সোজা চলে যায় কিপার জাকের আলি অনিকের গ্লাভসে। এমনই সূক্ষ্ম ছিল সেই স্যুইং যে আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা যায় স্নিকোমিটারেও খুব সামান্যই একটা ইঙ্গিত। তবে সেটাই যথেষ্ট ছিল আউট দেওয়ার জন্য। এত চমৎকার স্যুইংয়ে ক্রেইগ আরভিন, আম্পায়ার, এমনকি দর্শকরাও খানিকটা চমকে গেছেন।
কোনো উইকেট
না হারিয়ে ৬৭ রানে দিন শুরু করা রোডেশিয়ানরা মধাহ্নভোজের বিরতিতে যায় ৪ উইকেট খুঁইয়ে
১৩৩ রান নিয়ে। ক্রিজে ৩৩ রান করে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস এবং তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন
ওয়েসলি মাধেভেরে।
এর আগে গতকাল
(২০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা হতাশাচ্ছন্ন কাটে বাংলাদেশের। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট। এরপর বোলিংয়েও দিনের শেষটায় কিছু করতে পারেনি টাইগাররা। তাই আজ (২১ এপ্রিল) সকালেই
দ্রুত উইকেট শিকার করে ম্যাচে ফেরা ছাড়া বিকল্প ছিল না শান্তবাহিনীর। আর
সেই প্ল্যানে বোলিং ইউনিটের হয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন বাংলার স্পিডস্টার নাহিদ রানা।
সিরিজ
শুরুর আগেই নাহিদ রানাকে ঘিরে শুরু হয়েছিল কথার লড়াই। একদিকে বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা ঠাট্টা করে বলেন, নাহিদের চেয়ে বেশি গতির বল তো আমরা
মেশিনেই অনুশীলন করি। অন্যদিকে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে বলেছিলেন, ক্রিজে নামলেই বোঝা যাবে নাহিদের গতি কতটা ভয়ঙ্কর।
শেষ
পর্যন্ত সেই কথারই প্রমাণ মিলেছে মাঠে। নিজ দলের অধিনায়কের পক্ষেই যেন জবাব দিলেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আগের দিন ৬৭ রানে দিন
শেষ করা জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তিনি।
দিনের
তৃতীয় ওভারেই নাহিদের প্রথম শিকার হন ওপেনার বেন
কারেন। একটি বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর ফিফটি তুলে নেয়া ব্রায়ান বেনেটকেও বেশি সময় ক্রিজে থাকতে দেননি নাহিদ। স্কয়ার কাট খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায়
জাকের আলীর হাতে—ফল, সাজঘরের পথ ধরতে হয়
তাকেও।
নাহিদের
পর আক্রমণে আসেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ইনসুইং করা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড
করে ফেরান ওয়ানডাউনে নামা নিক ওয়েলচকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh