গতকাল (২০
এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম
দিনটা হতাশাচ্ছন্ন কাটে বাংলাদেশের। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট। এরপর বোলিংয়েও
দিনের শেষটায় কিছু করতে পারেনি টাইগাররা। তাই আজ (২১ এপ্রিল) সকালেই দ্রুত উইকেট শিকার
করে ম্যাচে ফেরা ছাড়া বিকল্প ছিল না শান্তবাহিনীর। আর সেই প্ল্যানে বোলিং ইউনিটের হয়ে
সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন বাংলার স্পিডস্টার নাহিদ রানা।
সিরিজ
শুরুর আগেই নাহিদ রানাকে ঘিরে শুরু হয়েছিল কথার লড়াই। একদিকে বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা ঠাট্টা করে বলেন, নাহিদের চেয়ে বেশি গতির বল তো আমরা
মেশিনেই অনুশীলন করি। অন্যদিকে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে বলেছিলেন, ক্রিজে নামলেই বোঝা যাবে নাহিদের গতি কতটা ভয়ঙ্কর।
শেষ
পর্যন্ত সেই কথারই প্রমাণ মিলেছে মাঠে। নিজ দলের অধিনায়কের পক্ষেই যেন জবাব দিলেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আগের দিন ৬৭ রানে দিন
শেষ করা জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তিনি।
দিনের
তৃতীয় ওভারেই নাহিদের প্রথম শিকার হন ওপেনার বেন
কারেন। একটি বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর ফিফটি তুলে নেয়া ব্রায়ান বেনেটকেও বেশি সময় ক্রিজে থাকতে দেননি নাহিদ। স্কয়ার কাট খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায়
জাকের আলীর হাতে—ফল, সাজঘরের পথ ধরতে হয়
তাকেও।
নাহিদের
পর আক্রমণে আসেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ইনসুইং করা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড
করে ফেরান ওয়ানডাউনে নামা নিক ওয়েলচকে।
এই
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৮
রান। ক্রিজে আছেন দলের অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার—শন উইলিয়ামস ও
ক্রেইগ আরভিন।
প্রথম
দিনের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয় দিনে
ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের জন্য।
দিনের শুরুতে নাহিদ রানার আগুন ঝরানো বোলিং সেটাই সম্ভব করেছে।