২ উইকেট হারিয়ে
৮৪ রান তুলে মধাহ্নভোজের বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতির পর শান্ত-মুমিনুলের ৫২ রানের
জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছিল স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্নভোজের
বিরতির পর বৃষ্টিভেজা পিচে খেলা শুরু হতে কিছুতা বিলম্ব হয়। তবে পিচ শুকোনোর সাথে সাথেই
সিলেটের আকাশে ওঠে ঝলমলে রোদ। বাংলাদেশ ও দেখতে পাচ্ছিল বড় সংগ্রহের আভাস। কিন্তু দলীয় ৯৮ রানে বাধ সাধেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল সপাটে আপার কাট খেলে বাউন্ডারি হাঁকানোর বদলে সোজা ক্যাচ তুলে দেন
শান্ত। এরই সাথে ভাঙে ৬৬ রানের জুটি।
-6804bf6b379db.jpg)
৬৯ বলে ৬ চারে ৪০ রান যোগ করেন ক্যাপ্টেন শান্ত।
শান্ত'র ফিফটি
মিস হলেও ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। তাঁর আগেই অবশ্য বিদায় নেন অভিজ্ঞ
মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর আজ শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। ১৮ বল খেলে ৪ রান করে দলকে বিপদে
ফেলে সাজঘরে ফেরেন মুশি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
এদিকে অর্ধশতক
তুলে নেওয়ার পরপরই ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস লম্বা করার ইঙ্গিত দিয়ে সেই মাসাকাদজার বলেই
ধরাশায়ী হন মুমিনুল। ১৩০ ইনিংস খেলা অভিজ্ঞ এই ব্যাটারও সেই ফিফটির পর বিদায়ের মিছিলে
শামিল হতে দেরি করলেন না। মুমিনুলের ১০৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে ছিল একটি
ছক্কা।
এদিন মেহেদি
হাসান মিরাজের ভাগ্যও সহায় হয়নি। মুজারাবানির আচমকা লাফিয়ে ওঠা বল ছেড়ে দিতে গিয়েও
সেটা তাঁর গ্লাভসে আলতো ছোঁয়া দিয়ে পৌঁছেছে কিপার মায়াভোর হাতে। ১ রানেই থামে মিরাজের
ইনিংস। ১২৩ রানে ৩ উইকেট থেকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে হঠাৎই ছন্দপতন। ১৩৭ রানে নেই
৬ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা খানিকবাদে সাজঘরের পথ দেখান তাইজুলকেও।
১৪৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই চিরচেনা রুপেই ফিরল বাংলাদেশ।
মিরাজের বিদায়ের
পর স্বীকৃত ব্যাটার বলতে শুধু জাকের আলী অনিক। কিন্তু অপর প্রান্তে নেই আর কোনো ব্যাটার।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪। ২৬ বলে ১০ রান করে ক্রিজে
আছেন জাকের আলী অনিক আর ৪ বলে ৪ রান করে তাঁর সঙ্গে আছেন বোলার হাসান মাহমুদ।
জিম্বাবুয়ের
হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন ২ পেসার মুজারাবানি আর নিয়াচি। আর বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন
মাসাকাদজা বাংলাদেশের ৩টি উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়েকে চালকের আসনে নিয়ে গেছেন।