আজ (২০ এপ্রিল)
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস
জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেটের মেঘলা আকাশ
তার সাথে বৃষ্টির আভাস আর পিচের সবুজ ঘাস বোলারদের জন্য বিশেষ করে পেসারদের জন্য বাড়তি
সুবিধা দেবে। তা জানা সত্বেও শান্ত'র এই সাহসী সিদ্ধান্ত খানিকটা অবাক করার মতই যেখানে
জিম্বাবুয়ের একাদশে আছে ৩ পেসার।
বাংলাদেশ
জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলে ওপেনারদের ভূমিকাটা আসলে কি শুধু অংশগ্রহণ করা তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
সর্বশেষ ২-৩ বছরে একের পর এক সিরিজে ব্যাটিং বিপর্যয়, সেট হয়ে আউট হওয়া এসব লিখতে লিখতে
বোধ করি ক্রীড়া প্রতিবেদকরাও ক্লান্ত। সিলেটের পিচে আজ দেখা গেছে অসম বাউন্স। হুটহাট
কখন কতটুকু বাউন্স হচ্ছে তা বোলারদের নিজেদেরই বুঝতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে ব্যাটারদের
তো অবস্থা আরও বেহাল। তবুও আজ ১-২ রানে নয় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৩১ রানে।
অষ্টম ওভার
পর্যন্ত টিকেছিলেন দুই ওপেনার। জিম্বাবুইয়ান কাপ্তান ক্রেইগ আরভিন নবম ওভারে ভিক্টর নোয়াচিকে
নিয়ে আসলে তিনি সাদমান ইসলামকে ধরাশায়ী করেন। চমৎকার আউটস্যুইংয়ে গালিতে ক্যাচ তুলে
দেন সাদমান। নিশ্চিত আউট সত্বেও সাদমানের রিভিউ নেওয়াটা খানিকটা দৃষ্টিকটু ছিল। ২৩
বল খেলে তাঁর সংগ্রহ ১২ রান।
এদিকে দুই
ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই মুমিনুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে
দেন, যদিও সেটা তালুবন্দি করতে পারেননি কিপার মায়াভো। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি।
তৃতীয় উইকেট
জুটিতে ৫২ রান তোলেন শান্ত-মুমিনুল। ৪৬ বলে ২ চারে ২১ রান করে ক্রিজে আছেন মুমিনুল
হক, আর ৪৩ বলে ৫ টি চারের মারে ৩০ রান করে অপরাজিত আছেন ক্যাপ্টেন শান্ত।
শান্ত-মুমিনুলের
জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।