বাংলাদেশের মতো পেস নির্ভর কৌশল নিয়েই সিলেট টেস্টে নামতে চায় জিম্বাবুয়ে। মুজারাবানি, এনগারাভা কিংবা নিয়াচির মতো গতি তারকাদের ঘিরেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সফরকারী দল। যদিও সাবকন্টিনেন্টের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতার ঘাটতি কিছুটা ভাবাচ্ছে উইলিয়ামসদের, তবে তাদের বিশ্বাস—লড়াইটা মাঠের ২২ গজে নয়, মূলত হবে মানসিক দৃঢ়তায়।
পাঁচ বছর পর টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে। এই সময়ের মধ্যে দুই দলের পারফরম্যান্সে এসেছে বড় পার্থক্য। বাংলাদেশ যেখানে এগিয়ে গেছে অনেকটা, জিম্বাবুয়ে সেখানে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে টাইগারদের উইকেট ব্যবস্থাও। একসময় মন্থর ও স্পিন সহায়ক উইকেট থাকলেও এখন বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে ঝুঁকছে পেস সহায়ক পিচের দিকে। এই পরিবর্তন জিম্বাবুয়ের জন্য একেবারেই নতুন।
সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস বলেন,
এবারের উইকেট বেশ আলাদা। আগে স্পিনবান্ধব ও মন্থর উইকেট পেতাম। এবার উইকেটে ঘাস রয়েছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি পেসারদের জন্য সহায়ক। পরিসংখ্যান ঘাটলেও দেখা যাবে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বেশিরভাগ পিচই সিম সহায়ক।
তবে উইকেট যদি পেসারদের সহায়তা করে, তাহলে সেটাকে প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন উইলিয়ামস। কারণ বাংলাদেশ যেমন শক্তিশালী পেস ইউনিট গড়ে তুলেছে, তেমনি জিম্বাবুয়ের পেস আক্রমণও বেশ ধারালো। মুজারাবানি, এনগারাভা ও নিয়াচিরা এখন জাতীয় দলের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ধারাবাহিকভাবে ভালো করছেন। তাদের ওপরই আস্থা রাখছেন উইলিয়ামস।
তিনি বলেন, আমাদের দলে দক্ষ ও বিশ্বমানের কিছু পেসার আছে। এনগারাভা, মুজারাবানি, নিয়াচি—এরা সবাই প্রতিভাবান। ট্রেভর গোয়ান্ডুও রয়েছে দলে। ফলে আমাদের পেস ইউনিট নিয়েও আমি আত্মবিশ্বাসী। লড়াইটা জমজমাট হবে বলেই মনে করছি।
বাংলাদেশও চারজন পেসার নিয়ে স্কোয়াড সাজিয়েছে। সবচেয়ে আলোচিত নাম তরুণ পেসার নাহিদ রানা। তবে উইলিয়ামস তার গতিকে নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন না। বরং বোলিং মেশিনে প্রস্তুতি নিয়েই তারা মাঠে নামছে।
তিনি বলেন,গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ তাদের পেস আক্রমণে দারুণ উন্নতি করেছে, এটা দেখতে ভালো লাগে। তবে এখন বিশ্বের অনেক দলেই গতি আছে। শুধু একজন নয়, অনেকেই দ্রুত গতিতে বল করে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুত হয়েছি।