বয়স
৪৩ বছর ২৫৯ দিন, এবং কিছুদিনের মধ্যে পা রাখবেন ৪৪
বছরে। তবে নামটা হল মহেন্দ্র সিং
ধোনি। উইকেটের পেছনে আগের মতোই তীক্ষ্ণ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন। আইপিএলের ১৮তম আসরের প্রথম ম্যাচে এক ঝলক দেখা
গেল সেই চিরচেনা মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম সেরা সম্পদ। গতকাল (২৩ মার্চ) চেন্নাইয়ের
বোলিং ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে দেখা গেল তার অসাধারণ দক্ষতা।
চিপকের
এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে, ইনিংসের শুরুতে পর পর উইকেট
হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বাই। তখন তিলক ভার্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে মুম্বাইকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ইনিংসের ১০.৩ ওভারে,
সূর্যকুমার যাদব এগিয়ে গিয়ে নূর আহমেদকে মারতে যান। কিন্তু বলের স্যুইং বুঝতে না পেরে লেংথ
মিস করেন এবং বলটা সরাসরি চলে আসে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। ধোনি সেটি ধরে উইকেটে লাগাতে মাত্র ০.১২ সেকেন্ড
সময় নেন। এত দ্রুত ছিল
যে, সূর্যকুমার ক্রিজে ঢোকারও সুযোগ পাননি।
এই
দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিংয়ের পর থেকেই ইন্টারনেটে
ধোনির প্রশংসা চলছে। এছাড়া, এই স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে
ধোনি ভারতের সাবেক অধিনায়ক নতুন ইতিহাসও গড়েছেন। এক মাঠে সবচেয়ে
বেশি স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ডে বাংলাদেশের লিটন দাসকে সরিয়ে সেরা তিনে চলে এসেছেন তিনি।
লিটন
দাসের ছিল ২০টি স্ট্যাম্পিং, যা মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে
হয়েছে। আর চেন্নাইয়ের এম
চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ধোনির স্ট্যাম্পিংয়ের সংখ্যা এখন ২১টি। এই তালিকার শীর্ষে
আছেন দুই বাংলাদেশি উইকেটকিপার। মিরপুর স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিমের স্ট্যাম্পিংয়ের সংখ্যা ২২টি এবং নুরুল হাসান সোহান আছেন সবার উপরে, তার স্ট্যাম্পিংয়ের সংখ্যা ৩০টি।
এক
মাঠে সবচেয়ে বেশি স্ট্যাম্পিং:
- ৩০
- নুরুল হাসান সোহান, শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম
(বাংলাদেশ)
- ২২
- মুশফিকুর রহিম, শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম
(বাংলাদেশ)
- ২১
- মহেন্দ্র সিং ধোনি, এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম
(ভারত)
- ২০
- লিটন কুমার দাস, শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম
(বাংলাদেশ)
এছাড়া,
ধোনি ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ১৯৫ স্ট্যাম্পিং করেছেন। আইপিএলে তার স্ট্যাম্পিংয়ের সংখ্যা ৪৩, সঙ্গে ক্যাচ রয়েছে ১৪৮টি।