আইসিসি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুই সপ্তাহ আগে শেষ হলেও, বাংলাদেশে এই টুর্নামেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে
আলোচনা এখনও চলছে। বিশেষ করে সাকিব আল হাসানের দলে
না থাকার বিষয়টি নিয়ে। এ বিষয়ে সম্প্রতি
নিজের মতামত জানিয়েছেন সাকিব। তিনি জানিয়েছেন, বিসিবি থেকে তাকে দলে না রাখার বিষয়ে
কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফির দল ঘোষণার পর
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সাকিবকে না রাখার কারণ
হিসেবে তার বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছিলেন। সাকিব অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে প্রায় ছয় মাস ক্রিকেট
থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন, ফলে তাকে কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে নেওয়া ছিল যথেষ্ট মনে হয়নি নির্বাচকদের। তবে সাকিব এ বিষয়ে কোনো
অভিযোগ করতে চান না। তিনি ক্রিকবাজের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, "কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তবে যদি বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ ভালোভাবে করা হতো, আমি খুশি হতাম।"
সাকিবের
বোলিং অ্যাকশন এখন বৈধ হয়ে গেছে এবং তিনি সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে তৃতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর ফলে, তিনি
এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন।
যদিও
সাকিব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন না, তবে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা তেমন ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ম্যাচে রান পেয়েছিলেন, আর বাকিরা ব্যর্থ
হয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে হারের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
হারের ফলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়, এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।