আজ (৭ ফেব্রুয়ারি)
বিপিএল ২০২৫ এর ফাইনালে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে চিটাগাং আগে ব্যাটিংয়ে নামে। ওপেনিংয়ে ১২১ রানের জুটি গড়ে খাজা নাফায় এবং পারভেজ
হোসেন ইমন। দুজনই দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক।
-67a612e5b542e.jpg)
১২ তম ওভার
পর্যন্ত ১০ এর ঘরে স্ট্রাইক রেটে ১২১ নিয়ে উড়ছিল চট্টলার রাজারা। পারভেজ হোসেন ইমন
৩০ বলে ব্যাক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন।
-67a612d6528d7.jpg)
খাজা নাফায় তাঁর সিগনেচার স্টাইলে একেকটা
ছক্কা হাঁকিয়ে বল কোথায় যাচ্ছে না তাকিয়ে সোজা
ব্যাট চালিয়ে মাথা নিচু করে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ৩৭ বলে ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নেন নাফায়।

১৩তম ওভারে
দানবীয় খাজা নাফায় কে থামান এবাদত হোসেন। ৭ বাউন্ডারি আর ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে
৬৬ রান করে কটবিহাইন্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
-67a6138b18323.jpg)
এরপরও চিটাগাং
এর চার-ছক্কার ফুলঝুরি থামছিল না। গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে পারভেজ ইমন বরিশালের বোলারদের
তুলোধুনো করতে থাকে।
তবে মোহাম্মদ
আলী আর কাইল মায়ার্সের কিপ্টে বোলিংয়ে চট্টলার রাজাদের রানের গতি কিছুটা কমালেও উইকেট
নিতে পারছিল না।
এদিন বরিশালের
কোনো বোলারই পাত্তা পায়নি। গ্রাহাম ক্লার্ক অদ্ভুতুড়ে একেকটা শটে ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন।
অফস্টাম্পের অনেক বাইরের একটা বল স্কুপ শটে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে সীমানা ছাড়া করেই
উলটে পড়ে যান গ্রাহাম ক্লার্ক। তারপর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটলেও তাঁর বাউন্ডারি হাঁকানো
থামছিল না। এমনকি এই অবস্থা নিয়েই একেকটা ডাবল নিচ্ছিলেন এই ব্যাটার। অবশ্য শেষ পর্যন্ত
এই দুই রান নিতে গিয়েই রান আউটের শিকার হন এই অজি ব্যাটার।

মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত
থ্রো লুফে নিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন মুশফিকুর রহিম। গ্রাহাম ক্লার্ক ২ চার এবং ৩ ছক্কায়
২৩ বলে ৪৪ রানে থামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পারভেজ ইমনের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি ভাঙে।
শেষ ওভারে
শামীম পাটোয়ারীর উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ আলী মাত্র ৬ রান দিলে ২০০ পেরোনো সংগ্রহ তোলা
হলনা কিংসদের। ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তুলে শিরোপা জেতার লড়াইয়ে বরিশালকে ১৯৫ রানের
লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল চট্টলার রাজারা।
ছয় ৪ এবং
৪ ছক্কায় ৪৯ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন।

বরিশাল এর
হয়ে এবাদত হোসেন ৩৫ রান দিয়ে ১টি আর মোহাম্মদ আলী মাত্র ২১ রান দিয়ে ১ টি উইকেট তুলে
নিয়েছেন।