বিপিএলের চলমান আসরে খেলার সময় বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম।আম্পায়ারের সন্দেহের ফলে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশি এই স্পিনারকে। তবে সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আলিসের ম্যাচ খেলতে আর কোনো বাধা নেই। আজ (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটি নিশ্চিত করেছে যে এখন আলিসের বিপিএল ম্যাচ খেলতে আর কোনো বাধা নেই।
গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) চিটাগং কিংসের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন আলিস। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচের আম্পায়াররা। যদিও সেই ম্যাচের পরপরই তিনি আর খেলেননি। তবে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও আলিস আল ইসলামের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। ২০১৯ সালে বিপিএলে ঢাকা ডাইনামাইটসের হয়ে অভিষেকের সময় তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তখনও তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাঠে ফিরেছিলেন। তবে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন তোলার ঘটনা তার ক্যারিয়ারে কিছুটা অনিশ্চয়তার ছায়া ফেলে দিয়েছিল।
তবে আজ বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হওয়ায় আলিস আল ইসলাম এখন সম্পূর্ণভাবে ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত। একজন তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে এই অভিজ্ঞতা তার জন্য ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রতিবারই তিনি প্রমাণ করেছেন যে পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস দিয়ে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা জয় করা সম্ভব।
বিপিএলের মতো প্রতিযোগিতামূলক আসরে এমন ঘটনা কেবল আলিসের জন্য নয়, বরং পুরো ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই শিক্ষণীয়। এটি একটি উদাহরণ যে ক্রিকেটের নিয়ম এবং নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কীভাবে একজন খেলোয়াড় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারে।
আলিস আল ইসলামের এই প্রত্যাবর্তন তার ভক্ত এবং সমর্থকদের জন্য যেমন আশার বাণী, তেমনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে ধরা যায়।