২০২৪ সালে
পুরুষদের ক্রিকেট মূলত ব্যস্ত ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
নিয়ে। এর মধ্যেই বেশকিছু ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেট তাই এবারে অনেকটা
বিরল দৃশ্যই ছিল বিগত বছরে। সবচেয়ে বেশি ১৮ ওয়ানডে খেলেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড
আর ভারত খেলেছে মোটে ৩টি করে ওয়ানডে ম্যাচ। ক্রিকেটের বিখ্যাত সাময়িকী উইজডেনের বর্ষসেরা
একাদশেও ছিল এর প্রভাব।
ক্রিকেটের
বিগ থ্রি খ্যাত তিন দেশ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত থেকে বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা
পেয়েছেন মোটে একজন। আর বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন কেবল একজনই। তিনি তাসকিন আহমেদ।
বছরজুড়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের দারুণ পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিয়েছেন বর্ষসেরা স্কোয়াডে।
উইজডেনের
এই দলে ওপেনার সাইম আইয়ুব ও পাথুম নিশাঙ্কা। পাকিস্তানের সাইম এই মুহূর্তে ক্রিকেটের
বড় নামেদের একজন। মাত্র ৯ ম্যাচেই করেছেন ১ ফিফটি আর ৩টি সেঞ্চুরি। বল হাতে আছে ৫ উইকেট।
এমন একজনকে বর্ষসেরার তালিকায় রাখা যেতেই পারে। অপর ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা বিদায়ী বছরে
ছিলেন ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক। ৬৯৪ রান করেছেন শ্রীলঙ্কার এই ওপেনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসি কার্টি পূরণ করেছেন টপঅর্ডার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ছিল এক সেঞ্চুরি। বাংলাদেশকেও ভুগিয়েছেন
ওয়ানডে ফরম্যাটে।
কুশাল
মেন্ডিস উইকেটের পেছনে কিংবা ব্যাট হাতে পার করেছেন দারুণ এক বছর। ১৭
ওয়ানডে ইনিংস থেকে মোটে ১ বার আউট
হয়েছিলেন এক অঙ্কের ঘরে।
৫৩ গড়ে পুরো বছরে নিয়েছেন ৭৪২ রান। বর্ষসেরার স্কোয়াডে উইকেটরক্ষক আর ব্যাটিং দুই
দিকেই ভরসা তিনি।
মিডল অর্ডারে
অলরাউন্ডার সমস্যার সমাধান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাট হাতে পুরো বছরে ৪১৭ রান আর বল হাতে
২১ এর নিচে গড়
রেখে পেয়েছেন ১৭ উইকেট। বাংলাদেশ
সিরিজেও ছিলেন দুর্দান্ত। তার মিডলঅর্ডার সঙ্গী ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের শারফেইন রাদারফোর্ড। দুজনেই যদিও অলরাউন্ডার, তবে বিগত বছরে তাদের ব্যাটই হেসেছে বেশি।
দলে স্বীকৃত
স্পিনার শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। চলতি বছর ব্যাট হাতে করতে পেরেছেন মোটে ৮৭
রান। তবে বল হাতে যৌথ সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট আছে তার। মাত্র ১০ ম্যাচে তার এমন পারফরম্যান্স
জায়গা করে নিয়েছে বর্ষসেরা স্কোয়াডে। আরেক স্পিনার এএম গাজানফার। বাংলাদেশের বিপক্ষে
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ছিল তার ৬ উইকেট। বছরে ২১ উইকেট জায়গা পাকা করেছে এই স্কোয়াডে।
দুই পেসারের
একজন শাহিন আফ্রিদি ও তাসকিন আহমেদ। পুরো বছরে ওয়ানডেতে শাহিন আফ্রিদির ঝুলিতে গেছে
১৫ উইকেট। ছিলেন বেশ ইকোনমিক্যাল। আর তাসকিনের বছর শেষে উইকেট ১৪টি। বছরের শেষটা ভালো
না গেলেও মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। ৩ ম্যাচেই শিকার করেছিলেন ৮ উইকেট।
উইজডেনের স্কোয়াডেও জায়গা নিশ্চিত হয়েছে সেই সূত্রে।