ফেব্রুয়ারি
মাসে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এর জন্য গতকাল (১২ জানুয়ারি) লিটন
দাসকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। ওইদিনই সন্ধ্যায় বিপিএল ইতিহাসে
দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস।
এরপর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে তাকে না রাখার
বিষয়ে মুখ খোলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
সংবাদ সম্মেলনে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে না রাখা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে লিটন বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফির বিষয়টা যদি বলেন, এটা আমার হাতে নাই। ওটা নির্বাচকদের কল সম্পূর্ণ। কাকে খেলাবে,
কাকে খেলাবে না এটা তাদের কল। আমার কাজ হচ্ছে পারফর্ম করা, যেটা করতে পারছিলাম না এতদিন।
ওটার জন্য আপসেট ছিলাম, কীভাবে ডেলিভার করা যায় পারফরম্যান্স।’
এদিন নিজের
মানসিক অবস্থার কথা জানিয়ে লিটন বলেন, ‘ম্যাচের আগে যে মাইন্ড সেটআপ ছিল, পরেও একই
আছে। আমি সবসময় একটা কথা বলি, আজকের দিনটা ইতোমধ্যেই অতীত। আমি হয়তো ক্যারিয়ারে একটা
ভালো ইনিংস খেলেছি। কিন্তু পরের ম্যাচে আবার আমাকে শূন্য থেকেই করতে হবে। ব্যাক অব
মাইন্ডে এটাই থাকবে যে, আবার নতুন করে আমার ইনিংস গোছাতে হবে। পরিশ্রম করবো, দেখা যাক
কী হয়।’
দল থেকে বাদ
পড়ার আগে কোনো পরিষ্কার বার্তা পেয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে লিটন বলেন, ‘ক্লিয়ার মেসেজ
দেওয়া হয়েছে (বাদ পড়া নিয়ে)। আসলে নির্বাচকদের তরফ থেকে না, কী কারণে রাখা হয়নি এটা
মিডিয়া ঘাটলেই পাওয়া যায় যে, কী কারণে রাখা হয়নি। আপনি যদি দেখেন, কী কারণে আমি বাদ
পড়েছি, আমার পারফরম্যান্স ছিল না। আপনারাই নিউজ করেছেন। এটা ওপেন। এটা না জানার কিছু
নাই।’
লিটনের ব্যাটে
আবারও রানের বন্যা বইতে থাকায় এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, এখন কি মনে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফিতেও ভালো করতেন? এবারও নির্বাচকদের প্রসঙ্গও টেনে লিটন বলেন, ‘দেখেন ভাই, এটা
এখন খুবই কঠিন বলা। আমি ওনাকে উত্তর দিয়েছি, কল সম্পূর্ণ নির্বাচকদের। ওনারা মনে করেছেন,
এই মুহূর্তে আমি দলে ফিট হচ্ছি না, তাই নাই। যদি তারা আবার আমার খেলা দেখে মনে করেন
যে, আমি ফিট হওয়ার মতো, তাহলে হয়তো তারা কামব্যাক করাতে পারে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ
তাদের কল। আমার ম্যাচ ফোকাস এখন সম্পূর্ণ বিপিএল নিয়ে। চেষ্টা করব কীভাবে ভালো করা
যায়।’