আজ (৩ জানুয়ারি)
মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল ২০২৫ আসরের সপ্তম ম্যাচে দূর্বার
রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়ে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে চিটাগাং কিংস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে
১৯৭ রান তুলেও ফরচুন বরিশালের কাছে হারতে হয় কিংসদের। তাই আজ ২১৯ রান তুলে আগেভাগেই
ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় চট্টলার রাজারা।
টসে জিতে চিটাগাং কিংসকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান দূর্বার রাজশাহীর ক্যাপ্টেন আনামুল হক বিজয়। আগের দিন তাসকিনের বোলিং তান্ডবেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজয়। তবে আজ আর কোনো রূপকথা ছিলনা। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরাট ভুল করলেন বিজয়।
ব্যাটিংয়ে নেমে কিংস ১ রানেই হারায় প্রথম উইকেট। পারভেজ হোসেন ইমন ডাক মেরে বিদায় নিলে ঘুরে যায় খেলার মোড়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান এবং তিনে নামা ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক তোলেন ১২০ রান।
ওপেনিংয়ে নেমেই দূর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর চড়াও হন পাকিস্তানি এই ওপেনার। ১১ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৪৮ বলে শতরান পূর্ণ করেছেন তিনি।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। ১৯তম ওভারে এসে ১২৩ রান করে থামেন এই ব্যাটার। ততক্ষণে চিটাগাং কিংসের স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ২০১ রান।
৬২ বল খেলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৩ রান করে তাসকিনের বলে থামতে হয় উসমানকে।
গ্রাহাম ক্লার্ক ৫ চার ও দুই ছক্কায় করেন ২৫ বলে ৪০ রান। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৮ রান। শেষদিকে হায়দার আলীর ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে শেষপর্যন্ত চিটাগাং ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ জমা করে।
বিপক্ষ দল বড় সংগ্রহ করলেও কিভাবে কিভাবে যেন মিতব্যায়ী বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। ২২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
২২০ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ১১৪ রানেই গুটিয়ে যায় দূর্বার রাজশাহী। ব্যাট হাতে টানা দুই ফিফটি করা ক্যাপ্টেন আনামুল হক বিজয় এদিন ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ১৫ বলে ৩২ রান করেছিলেন। তবে ভয়ংকর কিছু করে ফেলার আগেই তাকে ফেরান আরেক পাকিস্তানি মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
৮ ওভার ২ বলে রাজশাহীর রান ছিল ৮৩। এই রান রেটে তখনো রাজশাহী জয়ের জন্যই খেলছিল। আর ক্রিজে যখন দুই হার্ড হিটার ইয়াসির রাব্বি এবং আকবর আলি তখনও বেঁচে ছিল ম্যাচের প্রাণ।
এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ৯৪ রানে ৫ উইকেট থেকে মুহূর্তেই ১১৪ রানে থেমে যায় দূর্বার রাজশাহী।
বিপিএল ২০২৫ এর প্রথম সেঞ্চুরিটা করে ম্যাচসেরা হয়েছেন উসমান খান।