বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় তিনি। বল-ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিজের ব্যক্তিগত অর্জনকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি আন্তার্জাতিক ক্রিকেটেও তাঁর সমৃদ্ধির কমতি নেই। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও হয়েছেন বাঁ হাতি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
তবে এখন বাঁহাতের স্পিন ভেল্কিতে রেকর্ড গড়া সেই সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়েই উঠলো প্রশ্ন, খবরটি অবাক শোনালেও সত্যিই এমনটিই ঘটেছে সাকিবের সাথে। ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে করা হয়েছে আপত্তি।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে একটি টুর্নামেন্টে সমারসেটের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেন সাকিব। সে সময় ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার জন্য ৮ জন ক্রিকেটার ছিলেন না। তাই শুধু ১ ম্যাচের জন্য সাকিবকে দলে নেয় সারে। সেটি ছিল ২০১১-১২ মৌসুমের পর কাউন্টিতে সাকিবের প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে ৬৩ ওভার বোলিং করে ৯ উইকেট পায় সাকিব। ওই ম্যাচের প্রায় দুই মাস পর গত মাসের শুরুতে জানা যায়, ম্যাচের দুই আম্পায়ার সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
কাউন্টিতে এরকম প্রশ্ন ওঠার পর ধারণা করা হচ্ছে, আঙুলের পুরনো কোনো চোটের কারণেই সাকিবের ডেলিভারির অ্যাকশনে গড়বড় হয়ে থাকতে পারে। যদিও সাকিবকে তখনই খেলা থেকে নিষিদ্ধ বাঁ কোনো ধরণের শাস্তি প্রদান করা হয়নি। তবে ইসিবির অধিনে যেকোন ম্যাচ খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশনের ছাড়পত্র নিয়েই খেলতে হবে তাঁকে।
তাই গতকাল (২ ডিসেম্বর) ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বিশেষজ্ঞদের সামনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। জানা যায়, পরীক্ষায় প্রথমে সাকিব ৩ ওভার একটু জোরের ওপর বোলিং করেন। এরপর গতি কমিয়ে আরও ১ ওভার বোলিং করেন। সাকিবের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফল আগামী সাত দিনের মধ্যেই পেয়ে যাওয়ার কথা।
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার পর আজ তিনি ইংল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে উঠবেন।