বিশ্ব সেরা
অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়ের পর চেয়েছিলেন দেশের মাঠে খেলেই নিজের ক্রিকেট
ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। কিন্তু তাও হলো না তাঁর ভাগ্যে। হ্যাঁ, বলছি ক্রিকেটের ইতিহাসে
বিশ্ব সেরা বাংলাদেশি বাঁ হাতি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কথা।
সম্প্রতি বাংলাদেশে
সংঘটিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা রাখায় এবং আওয়ামী লিগের
সংসদ সদস্য হওয়ায় দেশে ফেরা হলো না তাঁর। তাই তিনি দেশের বাহিরে থেকেই টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি
ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন।
বাকি ছিল ওয়ানডে
ফরম্যাট। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে সংস্করণটি চালিয়ে যাবেন বলে তিনি
ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে সেই ইচ্ছেটাও পূরণের আশঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তান
সিরিজে নিজের অবস্থান তৈরী করতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে
মাঠে ফেরার আশা ব্যক্ত করেছেন সাকিব।
কিন্তু ওয়েস্ট
ইন্ডিজের বিপক্ষে দল ঘোষণার আগেই সাকিবকে নিয়ে এলো দুঃসংবাদ। চ্যাম্পিয়ন ট্রফির আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ, সেই সিরিজে তাঁকে ছাড়াই দল ঘোষণা
করতে যাচ্ছে বিসিবি।
দেশের বেসরকারি
একটি গণমাধ্যমমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের মাটিতে খেলার স্বাধীনতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং দেশে ফেরা ও বিদেশে যাওয়ার নিশ্চয়তা চান তিনি। বিসিবি সাকিবের
শর্তে সাড়া দেয়নি বলে ৮ ডিসেম্বর ওয়ানডে সিরিজে সাকিবের খেলার স্পম্ভাবনা নেই।
তবে বিসিবির
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, সাকিব এ রকম কোন শর্ত দিয়েছেন বলে তাঁদের জানা নেই। নাম
প্রকাশ না করার শর্তে এক বোর্ড কর্মকর্তা সাকিবের ওয়ানডে দলে না থাকার কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, নানা কারণে এ মুহূর্তে সাকিবের যে মানসিক স্থিতি, সেটি ঠিক
খেলার মতো অবস্থায় নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টেন লিগ খেলা আর জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট খেলা এক জিনিস নয়। সে কারণেই আমরা মনে করেছি, সাকিবের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে
না খেলাটাই ভালো। নির্বাচক কমিটিকে বোর্ডের এই মনোভাবের কথা জানানো হয়েছে।‘
বিসিবি জানিয়েছে,
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডের জন্য যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হব, তা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হ্যে
গেছে। আর এই দলে সাকিবকে না রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিসিবি। তাই এই স্কোয়াডে সাকিবের
নাম রাখা হয়নি।