প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের বিদায়ী ইনিংসে গতকাল (১৭ নভেম্বর) ৩ বলে ১ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস। খুলনা বিভাগের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় শেষ ম্যাচটাও সুখকর হলো না তাঁর।
আজ মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ম্যাচের তৃতীয় দিনে ঢাকা বিভাগের কাছে ৯ উইকেটে হেরে যায় ইমরুলের খুলনা বিভাগ। মাঠে তাঁর আজকের পারফরম্যান্স দেখে স্পষ্ট বোঝা গেল যে, ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়ে বোলিংয়ের মাধ্যমে তিনি ক্যারিয়ারের বিদায়ী ম্যাচ উপভোগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইমরুলের বোলিং থেকেই ঢাকা বিভাগ সবচেয়ে বেশি রান পেয়েছে।
ক্যরিয়ারের বিদায়ী ম্যাচ শেষেই তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছাড়ার কারন সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দাবি করেন ওয়ানডে ও টী-টোয়েন্টির জন্য তাঁর যে ফুল এনার্জি আছে চার দিনের টেস্ট ম্যাচের জন্য তা নেই।
৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ইম্রুল কায়েস বলেন, ‘এখন আমার ফিটনেস যে পর্যায়ে আছে, তাতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারব এবং আরও কয়েক বছর খেলতে পারব। তবে চার দিনের ম্যাচ খেলার জন্য যে পরিমাণ শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়, তা এখন আর নেই। আমার মনে হয়েছে, আমি যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং ওদের মতো ছন্দে (গতিশীল) খেলতে না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে একদিনেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এখানে ফুল এনার্জি দেওয়া সম্ভব।'
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন বিসিবিকে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানাই, তারা ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। অনেকেই আমাকে বলেছে, “ভাই, আপনি আরও ২ বছর খেলতে পারতেন।" কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আরও ২ বছর খেললে তারাই প্রশ্ন করত “ভাই, আপনি কবে খেলা ছাড়বেন?” এই কথাগুলো শোনার চেয়ে নিজ থেকেই চলে যাওয়াটা ভালো মনে হয়েছে। সম্মান থাকা অবস্থাতেই সরে দাঁড়ানোর বোধশক্তি থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পক্ষে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোট ৩৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বমোট ১৩১ ম্যাচ খেলেছেন।